#পশ্চিম মেদিনীপুর : হাসপাতাল ভবন নির্মাণ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে মেদিনীপুরের আয়ুস হাসপাতালটিকে ২০২০ তে আপতকালীন অবস্থায় কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। ২০২১ সালেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুনরায় কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু রাখা হয়। ২০২২ সালের মার্চে আয়ুস হাসপাতালটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে এই হাসপাতালটির পরিচালনার দ্বায়িত্বে রয়েছেন মাত্র চারজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। অন্যদিকে রোগী ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা আজও চালু হয়নি এই হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালের আউটডোরে দুটি বিভাগে শুধুমাত্র দুজন করে চিকিৎসকেরা রোগী দেখছেন। বর্তমানে আয়ূস হাসপাতালের OPD তে হোমিপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা আউটডোরে রোগী দেখে ওষুধ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষদের।
মূলত, হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে উঠলেও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবে রোগী ভর্তি নিতে পারছেনা আয়ুস কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীরা জানান, আউটডোর চলছে ঠিকই, কিন্তু যদি এখানে রোগী ভর্তি করা হয় তাহলে এই অঞ্চলের প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ আইআইটি খড়গপুরের বোর্ড অফ গভর্নরের নতুন চেয়ারম্যান হলেন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংআয়ুস হাসপাতালের আউটডোরে আসা মানুষেরা জানান, এই এলাকায় হাসপাতাল গড়ে উঠেছে তা খুবই ভালো, কিন্তু হাসপাতালে এখন কোনও রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না, যদি রোগী ভর্তি করে চিকিৎসার পরিষেবা দ্রুত চালু হয় তাহলে হাসপাতালের আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষেরা উপকৃত হবেন। কারণ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধিকাংশ সময় রোগীর সংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা সেভাবে পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুনঃ লাগানো হয়েছে হলুদ বোর্ড, বছর ঘুরলেও শুরু হয়নি রাস্তার কাজতাই এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা করার পরিষেবা চালু হলে ভালো হয়।এবিষয়ে আয়ুস হাসপাতালের ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার অরুণ সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে উনি ব্যস্ত থাকায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Partha Mukherjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Medinipur, Paschim medinipur