Jhargram: সুদুর সাইবেরিয়া থেকে গ্রামে আসে পরিযায়ী পাখির দল, বয়ে নিয়ে আসে বর্ষার বার্তা

Last Updated:

পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়াতে ভিড় করেছে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল। কাশফুল, শরতের মেঘ বা ঢাকের বোল নয়, ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে এরাই পুজোর বার্তাবাহক।

+
title=

ঝাড়গ্রাম: পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়াতে ভিড় করেছে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল। কাশফুল, শরতের মেঘ বা ঢাকের বোল নয়, ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে এরাই পুজোর বার্তাবাহক। মাঠ ঘাট জুড়ে কাশের বন আর আকাশজুড়ে মেঘের ভেলা দেখে যখন বাঙালি বোঝে পুজো আসছে, তখন ঝাড়গ্রামের মানুষের জন্য পুজোর বার্তা বয়ে আনে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা এই শামুক খোল পাখির দল। জামবনি ব্লকের কেন্দুয়াতে ৩-৪টি তেঁতুল গাছের ওপর দুর্গাপুজোর মাস দুয়েক আগে থেকে এসে বাসা বাঁধে এরা। জানান দেয়, পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পুজোর আগে পরিযায়ী পাখির দল আসে। বুঝতে পারি মা আসছে। এরাজ্যে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই আসতে শুরু করে পরিযায়ী পাখির দল। জুন মাসে প্রাক বর্ষার মধ্যেই ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়া গ্রামে আসতে শুরু করে পরিযায়ী পাখির দল। প্রতি বছর জুন-জুলাইতে এখানে কুলিক নদীর ধারে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা।
পাখি বিশেষজ্ঞ রাকেশ দেব সিংহ জানান, দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে গিয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে দূষণ কমায় বদলে যায় পরিস্থিতি। গত ২০২১ সালে পক্ষীনিবাসে আসে ৯৮ হাজার ৬৩১টি পরিযায়ী পাখি। যা সর্বকালীন রেকর্ড। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেকটা কমলেও এবার অর্থাৎ ২০২২ সালে ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়া গ্রামে পরিযায়ী পাখি এসেছে প্রায় ৩ হাজারের কিছু বেশি। প্রতি বছর শীতপ্রধান দেশ থেকে এখানে বেশ কয়েকটি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। প্রজননের পর ফের তারা আবার ফিরে যায় শীতের দেশে। পরিযায়ী পাখিদের দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমান বহু পর্যটক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর- খড়্গপুর সংযোগকারী দেশপ্রান বীরেন্দ্র সেতুতে ভারি যান চলাচল বন্ধ
এই গ্রামের মানুষরা জানান যে আষাঢ় মাসের শুরুতে এই পাখিগুলি এখানে চলে আসে যার ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি যে বর্ষা খুব শীঘ্রই আসছে, এবং এই বর্ষার শুরু থেকে এই পাখিগুলি শীতের শুরু পর্যন্ত থাকে তার মাঝে তারা এখানে বংশবিস্তার করে শীতের শুরুতেই এখান থেকে তারা ফিরে যায়। আর এই পাখিগুলি কে দেখার জন্য ভিড় করে দূর দূরান্ত থেকে আসা পাখি প্রেমী ও পর্যটকরা। এই গ্রামের মানুষের দাবী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঝাড়গ্রাম জেলাতে পর্যটক বেশি আসে তাই ঝাড়গ্রাম কে আরো বেশি করে ঢেলে সাজাতে হবে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ পয়েন্টসম্যানের দক্ষতায় বাঁচলেন বৃদ্ধ! পুরস্কৃত করার ভাবনা চিন্তা রেলের
সে ক্ষেত্রে এই গ্রামের মানুষরা চাইছেন তাঁদের এই কেদুয়া গ্রামকে যদি একটু সাজানো হয়, পাখিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে হয়তো আরো বেশি পরিমাণ পাখি এখানে আসতে পারবে,এবং এখানে থেকেও যেতে পারে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলায় আরো পর্যটকদের ভিড় বাড়বে,এবং এই গ্রামের মানুষ কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
advertisement
Partha Mukherjee
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Jhargram: সুদুর সাইবেরিয়া থেকে গ্রামে আসে পরিযায়ী পাখির দল, বয়ে নিয়ে আসে বর্ষার বার্তা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement