West Bardhaman News: ক্লাস চলাকালীন খসে পড়ছে ছাদের চাঙড়! প্রাণ হাতে নিয়ে পড়াশোনা কচিকাঁচাদের
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
স্কুলের এই বেহাল দশায় ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ক্লাস করে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরাও।
পশ্চিম বর্ধমান: বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। সেখানটা বেশ স্বাভাবিক। কিন্তু ভিতরে গেলে চোখে পড়বে কঙ্কালসার চেহারা। এভাবেই চলছে কাঁকসার আনন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল ভবনটি তৈরি হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। অর্থাৎ প্রায় ৭০ বছর হতে চলল এই স্কুল ভবনের বয়স। এলাকার ছোট ছোট পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা এই প্রাথমিক স্কুলটি। আজও পড়ুয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু ভিতরের জরাজীর্ণ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্কুলটি। কখনও মাথার উপর ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙর, কখনও ভাঙছে দেওয়ালের একাংশ!
স্কুলের এই বেহাল দশায় ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ক্লাস করে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরাও। এই বিষয়ে আনন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, ভবনটি এর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। তবে বাইরে থেকে রং করা হয়। কিন্তু কাঠামোগত সংস্কার খুব একটা কিছু হয়নি। আর তাই সময়ের নিয়মে স্কুল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি স্বীকার করেন, ক্লাস চলাকালীন মাঝেমধ্যেই ছাদের চাঙড়, দেওয়ালের অংশ ভেঙে পড়ে। একটুর জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। তবে নতুন স্কুল বিল্ডিং কবে তৈরি হবে সেই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কিছু বলতে পারেননি।
advertisement
advertisement
শুধু স্কুল বিল্ডিং ভেঙে পড়াই নয়, এখানে মিড ডে মিল দিতেও জায়গার অভাব প্রকট। এছাড়াও বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ। পড়ুয়াদের খেলার জন্য যেতে হয় দূরের অন্য একটি মাঠে। সব মিলিয়ে নানান সমস্যা মাথায় নিয়ে কোন রকমে চলছে কাঁকসার আনন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
advertisement
সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বিদ্যালয় পরিদর্শন করার সময় সমস্যাগুলি লিখিত আকারে মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন খুব দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবনটি মেরামতের ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। মন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সকলেই চাইছেন দ্রুত স্কুল ভবনটির মেরামতি হোক। নয়ত যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
advertisement
নয়ন ঘোষ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 13, 2023 12:40 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Bardhaman News: ক্লাস চলাকালীন খসে পড়ছে ছাদের চাঙড়! প্রাণ হাতে নিয়ে পড়াশোনা কচিকাঁচাদের