Asansol- ভয় নাকি অনীহা! পেরিয়েছে সময়সীমা। তবুও দ্বিতীয় ডোজ নেননি ১ লক্ষ ২৪ হাজার।
- Published by:Samarpita Banerjee
Last Updated:
এ বিষয়ে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তালিকা তৈরি করছেন। তালিকা অনুযায়ী, তাদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।
নয়ন ঘোষ, আসানসোল: চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার হাত থেকে বাঁচতে সবথেকে পরীক্ষিত উপায় টিকাকরণ। টিকাকরণ নিয়ে জলঘোলা হয়েছে একাধিকবার। একই সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে ভ্যাক্সিনেশন। গত দু'মাস আগে পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে মানুষের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বহু মানুষ ধৈর্য হারিয়ে বেসরকারি জায়গা থেকে টিকা নিয়েছেন। টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প।
তবে গত দুই মাসের মধ্যেই আমুল বদলেছে চিত্রটা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে ভিড় কার্যত উধাও, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তরের। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের যে চাহিদা দেখা যাচ্ছিল, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে সেই চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে টিকাকরণ কর্মসূচি হলেও, বহু মানুষের ইনজেকশন ভীতি এখনও কমেনি বলেও মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অনীহা।
advertisement
দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছেন, তা রীতিমতো উদ্বেগের। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমানে এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ৮৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও, টিকা নেননি এক লক্ষ ২৪ হাজার মানুষ। যদিও এই বিষয়ে খোঁজ-খবর করতে শুরু করেছেন আশা কর্মীরা। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে সেই সমস্ত মানুষদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
advertisement
advertisement
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার জন্য, বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ দেখতে পাচ্ছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহাম্মদ ইউনুস। এ বিষয়ে তিনি বলছেন, কিছু মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পরে বাইরে চলে গিয়েছেন। অনেকেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরেছিলেন। হয়ত তারা আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছেন। তা ছাড়াও অনেকে নির্বাচনের কাজের জন্য এসে টিকা নিয়েছিলেন। পরে তারা নিজের জায়গায় ফিরে গিয়েছেন। সেই কারণে দ্বিতীয় ডোজের টিকা না নেওয়ার সংখ্যাটা এত বেশি মনে হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, তালিকা তৈরি করছেন। সেই সমস্ত তালিকা অনুযায়ী, যারা এখনও সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও টিকা নেননি, তাদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।
advertisement
পাশাপাশি তিনি মনে করেন, এখনও অনেকের ভ্যাকসিন নিয়ে ভীতি রয়েছে। ইঞ্জেকশনেও ভীতি রয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে অনেকে এখনও প্রথম ডোজের টিকা ও নিতে পারেননি। একইসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, এই এক লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়ে গেলে, জেলা জুড়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হবে। ফলে, বড়োসড়ো বিপদের আশঙ্কা কম। কিন্তু মানুষের ভুলে গেলে চলবে না, এখনও করোনা আছে। তাই ভ্যাকসিন নিতে হবে। তা ছাড়াও করোনার জন্য সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
Location :
First Published :
November 25, 2021 6:16 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Asansol- ভয় নাকি অনীহা! পেরিয়েছে সময়সীমা। তবুও দ্বিতীয় ডোজ নেননি ১ লক্ষ ২৪ হাজার।