West Bardhaman News- বিধি-নিষেধের ধাক্কায় পর্যটকহীন মাইথন। মনখারাপ নৌকাচালক, হোটেল ব্যবসায়ীদের।

Last Updated:

পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম পরিচিত পর্যটনকেন্দ্র মাইথন। করোনার দাপটে পর্যটনের মরশুমে সেখানে দেখা নেই মানুষের।

আপাতত পর্যটকহীন মাইথন জলাধার।
আপাতত পর্যটকহীন মাইথন জলাধার।
#পশ্চিম বর্ধমান- করোনার সংক্রমণ এই মুহূর্তে কিছুটা আয়ত্তে। তবুও চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না প্রশাসন (West Bardhaman News)। যার জেরে জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য সরকার নির্দেশিত বিধি-নিষেধ জারি করা থাকবে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই শেষ হতে চলেছে পর্যটন মরশুম। পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে এখনও। অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া গেলেও, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় হলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। তার ফলে আপাতত ঘরবন্দি মানুষজন।
পায়ের তলায় সর্ষে থাকলেও, ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ নেই এখন (West Bardhaman News)। আর পর্যটকের দেখা না পেয়ে, মন খারাপ পর্যটন কেন্দ্রগুলির। মন খারাপ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষের। এই ছবিটা বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ঘোরাফেরা করছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম পরিচিত পর্যটনকেন্দ্র মাইথনে। পর্যটনের মরশুমে সেখানে দেখা নেই মানুষের। ফলে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নৌকা বিহারের কাজে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। তাছাড়াও ছোট ব্যবসায়ী, হক্রা পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
advertisement
দীর্ঘ বিধি-নিষেধের পর গত বছরের শেষের দিকে কিছুটা শিথিলতা এসেছিল। বাইরে বেরোতে শুরু করেছিলেন মানুষজন (West Bardhaman News)। ভিড় জমতে শুরু করেছিল মাইথনে। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে বহু মানুষ পিকনিক করতে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। গোটা সপ্তাহ জুড়ে চলছিল পিকনিক। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রচার চালাতে, নজরদারি করতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। জারি করা হয়েছে বিধি নিষেধ। তারপর থেকেই পর্যটকহীন মাইথনসহ সংলগ্ন এলাকাগুলি।
advertisement
advertisement
এই বছর পর্যটকদের নতুন আনন্দ দিতে বিশেষ স্পিডবোট এবং মোটর চালিত নৌকার আয়োজন করা হয়েছিল মাইথনে (West Bardhaman News)। দামোদর নদীর ওপর তৈরি এই বাঁধটিতে পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ নৌকাবিহার। বাঁধের মধ্যেখানে থাকা ছোট্ট সবুজ দ্বীপে নৌকায় চেপে যান বহু পর্যটক। চলতি বছরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন নৌকা চালকরা। নতুন নতুন স্পিডবোট এবং নৌকার ব্যবস্থা করেছিলেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে। নতুন নৌকাগুলি সাজিয়েছিলেন। তারা আশা করেছিলেন, ঠিকঠাক পর্যটক এলে ব্যাংকের ঋণ মিটিয়ে দিতে পারবেন। পাশাপাশি উপার্জন থেকে চালিয়ে নিতে পারবেন সংসার। কিন্তু অনুজীব করোনার ধাক্কায় আশাহত হয়েছেন তারা। পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, আপাতত তারা সমূহ বিপদের সম্মুখীন। তাই আগামী দিনগুলিতে তারা কিভাবে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করবেন, কিভাবে সংসার চালাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত নৌকা চালকরা।
advertisement
অন্যদিকে মন খারাপ হোটেল ব্যবসায়ীদেরও সম্মুখীন। মাইথন সংলগ্ন এলাকায় দামোদর নদীর দু'পাড়ে রয়েছে একাধিক হোটেল। পর্যটনের মরশুমে সেখানে থাকার জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে অন্যান্য বছরগুলিতে। তবে গত কয়েক বছর ধরে ছবিটা বদলে গিয়েছে। এখন ফাঁকাই থাকছে হোটেলগুলি। এই বছর মানুষজন আসবেন, এমনটাই আশা ছিল হোটেল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু বিধি-নিষেধের ধাক্কায় আপাতত পর্যটকরা ঘরবন্দি। ফলে কার্যত ফাঁকা রয়ে গিয়েছে হোটেলগুলি। চিন্তায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা। কাজ হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন অনেক হোটেল কর্মী। তারা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব বিধিনিষেধ উঠে যাক। আবার পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ুক মাইথনে।
advertisement
Nayan Ghosh
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Bardhaman News- বিধি-নিষেধের ধাক্কায় পর্যটকহীন মাইথন। মনখারাপ নৌকাচালক, হোটেল ব্যবসায়ীদের।
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement