Mathematician: অংকের উত্তর দিতে প্রয়োজন হয় না খাতা-পেন্সিলের! দুর্গাপুরের দেবম যেন খুদে রামানুজন!

Last Updated:

অংকের উত্তর দিতে নয় বছরের এই বালকের প্রয়োজন হয় না কোন স্লেট-পেন্সিল বা খাতা-পেনের। মনে মনে হিসাব কষেই এই খুদে উত্তর দিতে পারে

দুর্গাপুরের খুদে গণিতবিদ দেবম রুদ্র।
দুর্গাপুরের খুদে গণিতবিদ দেবম রুদ্র।
#দুর্গাপুর :পড়ুয়াদের মধ্যে গণিত ভীতি দেখা যায় প্রায়শই। কিন্তু এ যেন ঠিক উল্টো পুরাণ। নয় বছরের এক বিস্ময় বালক! সবেমাত্র টপকিয়েছে তৃতীয় শ্রেণির গণ্ডি। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য কম। নেই কোনও ভালো গৃহশিক্ষক। কিন্তু তাবড় গণিতবিদদের মত নির্ভুল উত্তর দিতে পারে সমস্ত জটিল অংকের। বিস্ময়ের শেষ নয় এখানেই। অংকের উত্তর দিতে নয় বছরের এই বালকের প্রয়োজন হয় না কোন স্লেট - পেন্সিল, বা খাতা-পেনের। মনে মনে হিসাব কষেই এই খুদে উত্তর দিতে পারে সমস্ত অংকের। সদ্য তৃতীয় শ্রেণির গণ্ডি পেরোনো এই বিস্ময়বালক দুর্গাপুরের বাসিন্দা।
এক চিলতে ঘরে তার বসবাস, বাবার সামান্য আয়ে চলে পরিবার। কিন্তু ন'বছরের এই বিস্ময় বালক গণিতের পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে বাড়িতে বসেই একাগ্র চিত্তে চালিয়ে যায় পড়াশোনা। দুর্গাপুরের বাসিন্দা এই বিস্ময় বালকের নাম দেবম রুদ্র। দুর্গাপুর ডিটিপিএস নিউ কলোনির বাসিন্দা। বাবা পেশায় একজন শাঁখারী। পাশাপাশি কিছু অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার কাজ করেন। দেবম স্থানীয় এসএসকে ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। চলতি বছরেই সে তৃতীয় শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছে।
advertisement
advertisement
দেবমকে দেখে স্থানীয় অনেকেই বলছেন এ যেন খুদে গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজন। লকডাউনের ধাক্কায় সেভাবে স্কুলমুখী হতে পারেনি। বাবা-মায়ের আর্থিক অসঙ্গতির জেরে জোটেনি ভালো কোনও গৃহশিক্ষক। তবে নিজের প্রচেষ্টায় সে আজ বিস্ময়ের অন্যতম শিখরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছে। মাত্র ন'বছর বয়সেই জটিল অংকের সমাধানের পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক কিছুই রপ্ত করতে পেরেছে সে।
advertisement
দেবমের লক্ষ্য, আগামী দিনে গণিত নিয়ে চর্চা চালিয়ে যাওয়া। ভারতের বিখ্যাত বিভিন্ন গণিতবিদদের তালিকায় নিজের নাম তোলা। তাছাড়াও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে তার আগামী দিনে উচ্চতর পড়াশোনা করার ইচ্ছা রয়েছে। তবে কীভাবে খাতা-পেন, বা স্লেট-পেন্সিল ছাড়াই ন'বছরের এই খুদে যে কোন অংকের নির্ভুল উত্তর দিতে পারে, তা বিস্ময় তার বাবা-মায়ের কাছেও।
advertisement
দেবমের বাবা ইন্দ্রজিৎ রুদ্র পেশায় শাঁখারী শিল্পী। বাড়িতে শঙ্খ ও শাঁখা তৈরির কাজ করেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন। তাতে যা রোজগার হয়, কোনভাবে সংসার চলে যায়। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। স্কুল বন্ধে গৃহবন্দিদশা আমুল বদলে দিয়েছে দুর্গাপুরের দেবমকে। স্কুলে যাওয়া না হলেও ঘরে বসেই গণিতচর্চা, মহাকাশের জাগতিক চর্চা করেছে সে। আর সেসবই এখন নজর কাড়ছে দেবমের প্রতিভাকে। যা তাকে অসামান্য করে তুলেছে। স্লেট পেন্সিলের প্রয়োজন হয়নি। খাতা কলমেরও ব্যবহার ছাড়া অনায়সে কষছে যোগ, গুণ, ভাগ, বিয়োগের বড় বড় অংক। শুধু তাই নয়, এই বয়সে শতাংশ, রুটওভার, ফ্রেক্সেনের অংক কষে অনায়াসে উত্তর বলছে দেবম।
advertisement
Nayan Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Mathematician: অংকের উত্তর দিতে প্রয়োজন হয় না খাতা-পেন্সিলের! দুর্গাপুরের দেবম যেন খুদে রামানুজন!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement