#পশ্চিম বর্ধমান : বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়িয়ে আবার হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মাস কয়েক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। প্রায় প্রতিদিনই ৩০০০ এর কোটা পূরণ করছে সংক্রমিতের সংখ্যা। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিন্তা বাড়াচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। জেলায় প্রতিদিন সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যদিও এই সংখ্যা শুধুমাত্র টেস্টের উপর নির্ভর করেই বলা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু করোনা সংক্রমিত রোগী উপসর্গহীন। ফলে তারা পরীক্ষাও করাচ্ছেন না। সেই জায়গা থেকে দেখলে সংক্রমিতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে।
পাশাপাশি বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের অনীহা, চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে মানুষ মাস্ক পড়তে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন। যা বড়সড় বিপদের ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে সমস্ত মানুষ মাস্ক পড়তে অনিহা প্রকাশ করছেন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই ভুলেছেন, তাদের জন্য ফের কড়া পদক্ষেপের চিন্তা ভাবনা করছে জেলা প্রশাসন, সূত্রের খবর এমনটাই।
আরও পড়ুন - দুর্গাপুরে জোর দৌড়াদৌড়ি, ড্রেনের জলে হুড়মুড়িয়ে ভেসে আসছে ৫০০ টাকার নোট, তারপর
সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং মানুষের গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেছেন গত একমাস আগে জেলায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা যা ছিল, সেই সংখ্যা এক মাস পরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে খুব বেশি রোগী ভর্তি না থাকলেও, বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। অনেকে সংক্রমিত হওয়ার পর বুঝতেও পারছেন না উপসর্গহীন হওয়ার জন্য। যা বেশি বিপদজনক হচ্ছে। তাছাড়াও চতুর্থ পর্যায়ের এই সংক্রমণের ঢেউ শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাবশালী হতে পারে। যা রীতিমতো চিন্তার। এই সময় সাবধান হওয়া খুব প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। মাছ পড়ার ক্ষেত্রে অনীহা করা চলবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া দ্বিতীয় উপায় নেই বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, জেলায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লক্ষ ৯৫ হাজার। তবে এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ। জেলার একটি বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ অজ্ঞতার কারণে করোনার প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পর্যন্ত নেন নি। ফলে তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাছাড়া উপসর্গহীন হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ বা ভ্যাকসিনের অন্যান্য ডোজগুলি নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে চিকিৎসক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, West Bardhaman