Bardhaman News : চোরের সুন্দরী স্ত্রী! মানবাধিকার কর্মী সেজে স্বামীকে সঙ্গ! রাতের অন্ধকারে যা ঘটল! ভয়াবহ

Last Updated:

Bardhaman News: সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে একী করল চোর? জানলে চমকে যাবেন!

হিরাপুর থানা। (প্রতিকী ছবি)
হিরাপুর থানা। (প্রতিকী ছবি)
পশ্চিম বর্ধমান : এই চোরের কাহিনি জানলে যতটা না অবাক হবেন, তার থেকে অবাক হবেন তার  স্ত্রীর কথা জানলে। চাণক্য নীতি নাকি বলে, স্বামী অপরাধ করলে তার স্ত্রীকে জানাতে নেই। তবে এই চোর তা করেনি। উল্টে চৌর্যবৃত্তিতে সঙ্গী করেছিল নিজের স্ত্রীকে। আর স্ত্রী, তিনি আরও বেশি ধুরন্ধর। সুন্দরী ওই মহিলা আবার মানবাধিকার কর্মীও। স্বামীর চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রিতে তারই হাত ছিল বেশি। মানবাধিকার কর্মীর রোয়াব দেখিয়ে পুলিশ কর্মীদের ঠকাতেও ওস্তাদ ছিলেন তিনি। তবে হল না শেষ রক্ষা। অবশেষে পুলিশের জালে চোর এবং তার গুণধর স্ত্রী।
বাঁকুড়া শালতোরার বাসিন্দা সব্যসাচী গুপ্ত। এলাকায় কুখ্যাত চোর বলে নামডাক রয়েছে তার। কপাল করে জুটিয়েছিলেন অর্ধাঙ্গিনী। তিনি যেমন রূপবতী, তেমনি গুণবতী। রাতের অন্ধকারকে সঙ্গী করে স্ত্রীর স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন সব্যসাচী। সবার অলক্ষ্যে বাঁশের সেতু পার করে পৌঁছে যেতেন আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন বাড়ি দোকানে চলত চুরি। নগদসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র হাত সাফাই করে সূর্য ওঠার আগেই বাড়ি চলে আসতেন তিনি। চুরি করা জিনিস তুলে দিতেন স্ত্রীর হাতে। তারপর ঘুম। আর দিনের আলোয় কাজ শুরু করতেন সব্যসাচীর স্ত্রী সুভদ্রা দাশগুপ্ত। তবে পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে আপাতত শ্রীঘরে ওই দম্পতি।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, চুরি করা বিভিন্ন জিনিসপত্র সব্যসাচী তুলে দিতেন স্ত্রী সুভদ্রার হাতে। তারপর সুভদ্রার দায়িত্ব ছিল সেগুলিকে মজুত করে রাখা। দিনের আলোয় সোনা থেকে শুরু করে সিগারেটের কার্টুন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন তিনি। স্কুটিতে লাগিয়েছিলেন মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যপদ পাওয়ায় হাতে চাঁদ পেয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে কখনও পুলিশ হানা দিলেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলতেন। এই ভাবে কয়েকজন পুলিশ কর্তাকে যেমন বোকা বানিয়েছেন, তেমন আবার বেশ কয়েকটি থানার পুলিশকে নোটিশও ধরিয়েছেন সুভদ্রা দাশগুপ্ত। সুন্দর রূপের সঙ্গে কথার  ইন্দ্রজাল বুনতেও তিনি এক্সপার্ট ছিলেন বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কিছুদিন ধরে হিরাপুর থানা এলাকায় চুরির ঘটনা বাড়ছিল। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসে হিউম্যান রাইটস লেখা ওই স্কুটি। তারপরে শালতোড়া এবং হিরাপুর থানার পুলিশ গুপ্ত দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিল তদন্তের জন্য। কিন্তু তখনও মানবাধিকার কমিশনের নাম করে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সুভদ্রা দেবী। এরপর ওই চুরির আরও তদন্ত করতে গিয়ে অন্য দু'জনের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ওই দু'জন জানায়, সব্যসাচী গুপ্ত এবং সুভদ্রা গুপ্তের কথা। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে। প্রথমে জেল হেফাজত দেওয়ার পরে বিচারক ওই দম্পতিকে হিরাপুর থানার পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছেন। যদিও সুভদ্রা গুপ্তের দাবি, তিনি নির্দোষ। পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। এই বিষয়ে ডেপুটি কমিশনার অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
advertisement
Nayan Ghosh
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Bardhaman News : চোরের সুন্দরী স্ত্রী! মানবাধিকার কর্মী সেজে স্বামীকে সঙ্গ! রাতের অন্ধকারে যা ঘটল! ভয়াবহ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement