বদলে যেতে পারে মালদহ, মুর্শিদাবাদের চেহারা... বিধানসভায় ভাঙন সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে সকলে মিলে দিল্লি দরবারে চলুক কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়ে, আবেদন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার।
কলকাতা: গঙ্গা ভাঙনের জেরে বদলে যেতে পারে মালদা-মুর্শিদাবাদের ভূগোল। ফুলহার-কোশী রতুয়া-১ ব্লক চলে এসেছে ৭০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে। ভাগীরথী-গঙ্গার দূরত্ব কমে এসেছে মাত্র ৩ কিমি দূরত্বে।তড়িঘড়ি কেন্দ্রের তরফে অর্থ না পেলে ফের তলিয়ে যাবে জমি, বাড়ি সহ একাধিক গ্রাম। বিধানসভায় ভাঙন সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিধানসভায় রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া যে তথ্য পেশ করেছেন তাতে উল্লেখ আছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস অবধি মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৫৩৫৩ বিঘা জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে মালদহের ২১৮ গ্রাম ও মুর্শিদাবাদের ১৯৫ গ্রাম। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় ভাগীরথী-গঙ্গা চলে এসেছে ৩ কিমির মধ্যে। ফুলহার ও কোশীর মধ্যে রতুয়া-১ ব্লকে দূরত্ব কমে চলে এসেছে ৭০০ মিটার। যে কোনও সময় এই নদী একসঙ্গে চলে এলে বিপদ আরও বাড়বে আশঙ্কা রাজ্যের।
advertisement
advertisement
মালদহের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ২৫৯৯ জনকে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ১০৩ জনকে। মালদহ জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ১৭৩২ জনকে। মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ৫২৬ জনকে। তথ্য বলছে ফারাক্কা ব্যারেজকে শেষ বারটাকা দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের ১৯ মার্চ। ৯৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।২০০৫-২০১৭ সালের জুন মাস অবধি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছিল ১২০ কিমি ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে ভাঙ্গনের কাজ দেখবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে CWC জানায় তারা মাত্র ১৯.৪ কিমি কাজ দেখবে।এর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে দুই বার চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙ্গন নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়। এর পর বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডের প্রতিনিধিরা গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন, CWC ও ফারাক্কা ব্যারেজ অথরিটি বৈঠক করে। CWC সিদ্ধান্ত নেয় ২০২৪ সালে ১৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
advertisement
আজ পর্যন্ত সেই টাকা আসেনি। Flood Management Border Area Programme জানায় তেসরা সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ২১৩২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বাংলা ও বিহারে। বাংলায় প্রয়োজন ১৫৫০ কোটি টাকা ও বিহারের জন্য ৫৮১ কোটি টাকা। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড ও বিহারের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। ৬১০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।মানস ভুইয়া উল্লেখ করেন, রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে উচিত সকলের একসাথে ভাঙ্গন ইস্যুতে দিল্লি যাওয়া। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বাস্তব অবস্থা তুলে ধরুক কেন্দ্রের কাছে। বিরোধীদের এই ব্যাপারে সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
view commentsLocation :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
June 12, 2025 9:06 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর দিনাজপুর/
বদলে যেতে পারে মালদহ, মুর্শিদাবাদের চেহারা... বিধানসভায় ভাঙন সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

