আজকের খবরের কাগজের সেরা খবর
Last Updated:
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
১) রাজধানী এক্সপ্রেস: আগ্রহ দেখাননি কুর্সিতে, তবে মমতার নজরে দিল্লি
advertisement
একুশের শহিদ-স্মরণ মঞ্চ। আর সেই মঞ্চ থেকেই স্থির চোখ রইল ২০১৯-এর দিকে।
বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেও তাঁর নাম তুলে ধরতে শুরু করেছিলেন পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ। ব্যাপারটা যে নিছক জল্পনা নয়, এ বার তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। বৃহস্পতিবার একুশের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা তাঁর না থাকলেও আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে ওঠাই তাঁর অন্যতম লক্ষ্য।
advertisement
২) লোভে পাপ, বারবার স্মরণ করালেন তৃণমূল নেত্রী
দুর্নীতি তিনি ‘টলারেট’ করবেন না, বলে রেখেছেন আগেই। দলের দাপুটে কাউন্সিলরকে জেলে ভরেছেন। একুশের মঞ্চ থেকেও কড়া অনুশাসনের কথা যে বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা প্রত্যাশিত ছিল। প্রত্যাশিত সেই ভূমিকাই মমতা নিলেন বৃহস্পতিবার, কিন্তু গতে বাঁধা পথে নয়। বেচাল চলবে না, বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করব না-র মতো কঠোর বাক্য নয়, মমতা এ দিন বারবার কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে চাইলেন লড়াই আর বিশ্বাসযোগ্যতার মন্ত্রে। বারবার মনে করিয়ে দিলেন, লোভে পা নয়। বিরোধীরা অবশ্য মনে করছেন, প্রয়োজনের তুলনায় এই সাবধানবাণী খুবই মৃদু।
advertisement
৩) ভিভের মাঠে সেঞ্চুরিতে মস্তানি বিরাটের
অ্যান্টিগা টেস্টের ভাগ্য ভাল, তার আজ একটা বিরাট কোহালি ছিল। অ্যান্টিগা টেস্টের ভাগ্য ভাল সেখানে আজ একটা বিরাট কোহালি সেঞ্চুরি করে গেলেন। অ্যান্টিগা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিচারে যতটা নৈসর্গিক, তার ক্রিকেট স্টেডিয়ামও নাম-মাহাত্ম্যে প্রখ্যাত। নামটা যে, স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যে দৃশ্য সেখানে দেখা যাচ্ছিল, আঁতকে ওঠার মতো। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের দুর্দান্ত বাউন্সারে মুরলী বিজয় আউট। ভারত ১৪-১, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা উল্লসিত। দেখার লোক বলতে, জনা তিনেক সাফাইকর্মী! বিরাট কোহালি ধুঁয়াধার ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেন। কার্লোস ব্রেথওয়েটকে পরপর দু’টো বাউন্ডারি মেরে। ক্যারিবিয়ান পেস-ব্যাটারি দিশেহারা। কিন্তু গ্রাস ব্যাঙ্কসে একজনও বসে নেই!
advertisement
৪) পদত্যাগ দাবি দুই বিধায়কের, কৌশলী তৃণমূল
তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং দীপালি বিশ্বাসের বিধায়ক পদের ভবিষ্যৎ কী?
বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের সভায় হাজির হয়ে ‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে’ চেয়েছেন বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস এবং গাজোলের সিপিএম বিধায়ক। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, দলত্যাগ বিরোধী আইনে দু’জনেরই বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। এ ব্যাপারে শীঘ্রই স্পিকারকে চিঠি দেবেন তাঁরা। স্পিকার যদি বিধায়ক পদ খারিজ না করেন, তবে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
advertisement
১) লোকের থেকে টাকা তুলে দল চালাতে চাই না: তৃণমূল নেত্রী
সিন্ডিকেটরাজ আর তোলাবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের যে ঘোষণা নবান্ন থেকে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তা ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিপুল জনাদেশে ২১১টি আসন জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ইনিংস শুরু করেছেন মমতা। শহিদ দিবসে সেই জনতা জনার্দনকে সাক্ষী রেখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করলে, তা বরদাস্ত করব না। অনেক কষ্ট, সংগ্রাম, রক্ত আর আত্মবলিদানের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল মানুষের পক্ষেই থাকবে।
advertisement
২) ভাষণ নয়, সেলফিতেই মজে ছিল মিছিলের যৌবন
মুখ্যমন্ত্রী তখনও মঞ্চে আসেননি। বক্তব্য চলছে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের। কিন্তু সেই বক্তব্য শোনায় মন নেই অরবিন্দ-রনি বা সুদীপার। তাঁরা ব্যস্ত ‘সেলফি’ তুলতে। বিভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে একের পর এক সেলফি তুলে চলেছেন তাঁরা। ভাষণ শুনবেন না? জিজ্ঞাসা করতেই তাঁদের মধ্যেই এক তরুণী বললেন, এলাকায় অনেকবার মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দলের নেতানেত্রীরা গিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য মাঠে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে শুনেছেন। কিন্তু কলকাতায় জীবনে এই প্রথমবার এতবড় রাজনৈতিক সমাবেশে আসা।
advertisement
৩) কবীর সুমনের সৌজন্যে একুশের মঞ্চে ব-কলমে হাজির জেলবন্দি মদন, গায়কের কথায় হতচকিত স্বয়ং মমতাও
দীর্ঘ দিন বাদে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁর ফিরে আসা। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন না ঘটলেও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তিনি ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শুরু করেন বিজেপি বিরোধিতার প্রসঙ্গে। একদা এই ‘বিদ্রোহী’ সঙ্গীতজ্ঞ-বুদ্ধিজীবীকে মমতা ক্ষোভ ভুলে সরকারি পুরস্কারও দিয়েছিলেন কৃতজ্ঞতাস্বরূপ। সেই কবীর সুমনকে ছ’বছর পর ধর্মতলায় ঘাসফুল শিবিরের বাৎসরিক বিগ ইভেন্ট-এর মঞ্চে আহ্বান জানানো হয়েছিল একটি গান শোনানোর আরজি জানিয়ে। তিনি এসেওছিলেন। গান শুনিয়েছেন।
৪) শহিদ দিবসে জনপ্লাবনে অবরুদ্ধ রাজপথ, থমকে গেল যানবাহনের গতি
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনপ্লাবনে থমকে গেলে মহানগরীর রাজপথ। সকাল ন’টা থেকেই মিছিল আসতে শুরু করেছিল ধর্মতলার দিকে। বেলা যত গড়িয়েছে, মিছিলের সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য ততই বেড়েছে। মূলত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে করে আসা মানুষ শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল করে মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলায় আসেন। ফলে সংলগ্ন রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, লেনিন সরণি, শিয়ালদহ ফ্লাইওভার, এম জি রোডে যানবাহন সাময়িকভাবে থমকে যায়।
Location :
First Published :
July 22, 2016 9:43 AM IST