২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকেই তো সারা বিশ্ব জুড়ে সবার কেবল একটাই প্রার্থনা- ঝাড়ে-বংশে শেষ হয়ে যাক করোনাভাইরাস (Coronavirus)! তা, নতুন বছর শুরুর দিন তিনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োগ বিশ্বের নানা প্রান্তে, ফলে সেই আশাপূরণের লক্ষ্যে নড়েচেড়ে বসেছেন সবাই! আর এ সবের মধ্যেই মার্কিন মুলুকের মিনেসোটার জশ টার্নিয়ার নামের এক তরুণ আবিষ্কার করে ফেল এক ভিডিও গেম। যেখানে ইনজেকশন দিয়ে পর্দায় ঘুরে বেড়ানো হরেক মাপের কোভিড ১৯ জীবাণুকে মেরে ফেলতে হবে! এই খেলার নাম জশ দিয়েছে কোভিড ইনভেডারস!
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জশ জানিয়েছে যে স্পেস ইনভেডারস গেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সে এই কোভিড ইনভেডারস (Covid Invaders) গেমটা তৈরি করেছে। এই প্রসঙ্গে জশের মুখে শোনা গিয়েছে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোমান পেসাকোভিচের নাম। খবর মোতাবেকে, করোনাকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে পেসাকোভিচ একটা ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল। তখনই জশের মাথায় এই ভিডিও গেম তৈরি করার বুদ্ধি খেলে যায়। তার কথায়, করোনাকালে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য একটা কিছু করার প্রয়োজন ছিল। তার আশা, সেই কাজটা কিছুটা হলেও সম্পন্ন হবে এই কোভিড ইনভেডারস গেম দিয়ে।
১১ বছর বয়স থেকেই কোডিং শিখেছে বলে গেমটা ডিজাইন করা জশের পক্ষে একটুও কঠিন ছিল না। তবে কোন ডিভাইজে কেমন করে চলবে এই গেম, সেটা নিয়ে প্রথম দিকে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে আপাতত এই বাধা অতিক্রম করা গিয়েছে বলেই দাবি করেছে জশ।
পাশাপাশি, সে আরও একটা বিষয়ের উল্লেখ করতে ভোলেনি। জশ জানিয়েছে যে এই কোভিড ইনভেডারস গেমের জন্য সে একটা গান লিখে তাতে সুরও দিয়েছে। কেউ যখন কোভিড ইনভেডারস গেমটা খেলবেন, ইনজেকশন দিয়ে নিধন করে চলবেন একের পর এক কোেভিড ১৯ জীবাণু, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে এই গানটা বাজতে থাকবে। এই গানের কথাতেও করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস মাস্ক পরা, হাত ধোওয়ার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মজাদার ভাবে।
জশ জানিয়েছে যে এই গান শুনে সবাই বেশ মজা পেয়েছেন! খবর মোতাবেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০০ জন এই কোভিড ইনভেডারস গেমটা খেলে দেখেছেন! সবারই মুখে মুখে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে গেমের গান!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Video Game