#নয়াদিল্লি: এক সময়ে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপও পড়েছিল ভয়ানক বিপদে। এমনই একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই টেলিস্কোপের নাম এখন সকলেই জেনে গিয়েছেন। এই টেলিস্কোপ ফেরত নক্ষত্র মণ্ডলীর ছবি থেকে শুরু করে আমাদের সৌর মণ্ডলের অত্যাধুনিক ছবি মুগ্ধ করেছে গোটা বিশ্বকে। সেই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপই পড়েছিল এক ভয়ানক বিপদে। সম্প্রতি গবেষণা পত্রে, একদল বিজ্ঞানী একেবারে শুরুর দিকে এই টেলিস্কোপের গতিবিধি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। সেখানেই লেখা হয়েছে সেই ভয়ানক সময়ের কথা।
আরও পড়ুন: ছ'টি মামলার সবকটিতেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেন মহম্মদ জুবের
বিজ্ঞানীরা সেখানে বলেছেন, এ বছরই মে মাসের একটি সময়ে ভয়ানক বিপদে পড়ে এই টেলিস্কোপটি। এটিতে এসে ধাক্কা মারে একাধিক গ্রহাণু। পর পর বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতেই স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গিয়েছে এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের। একটি মিরর বা আয়নার অংশ এমন ভাবে ভেঙে গিয়েছে যে সেটি সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও নাকি অনেক সমস্যাতেই পড়তে হয়েছে এই টেলিস্কোপকে। সেগুলির ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা, তা এখনও স্পষ্ট করে বোঝাও যায়নি, তবে ক্ষতি হয়েছে ভয়ানক ভাবে।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত মাকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা!খড়্গপুরে ঘুম ভেঙে নৃশংস দৃশ্য দেখল দুই সন্তান
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন মূল চিন্তা বিষয়টি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে দীর্ঘমেয়াদে তা নিয়ে। মনে করা হচ্ছে, এটি এই ক্ষতি যদি প্রাইমারি মিররে ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। এর ফলে ধীরে ধীরে প্রাইমারি মিররকে অকর্মন্য করতে দিতে পারে বলেও মনে হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সংখ্যা বিচার করে বলেছেন, ২২ মে মোট ৬টি গ্রহাণুর আঘাতে আহত হয়েছিল এই গ্রহটি। যদিও ষষ্ঠ গ্রহাণুর আঘাতটি তেমন জোরাল ছিল না, কিন্তু সেটিও প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা আঘাতের বিষয়ে যা ভাবছিলেন, পরবর্তীতে দেখা যেতে পারে আঘাত তার চেয়ে গুরুতর। তবে বিজ্ঞানীরা আস্বস্ত করেছে, এর ফলে টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা ছবির কোনও ক্ষতিসাধন হবে না। আগের মতোই এর রিজলিউশন থাকবে, সেই ব্যবস্থা বিজ্ঞানীরা করেই রেখেছিলেন। কারণ তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন যে মহাকাশে এই ধরনের গ্রহাণুর হামলার মুখে পড়তে পারে টেলিস্কোপটি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: James Webb Telescope, NASA