বর্তমানে অনলাইন শপিং প্রতারণার ঘটনা দিন দিন প্রকাশ্যে আসছে। অনলাইন জালিয়াতদের ধরার জন্য পুলিশের আলাদা সাইবার ক্রাইম সেল থাকলেও, অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর কারণ হচ্ছে, জালিয়াতরা প্রতিবারই নতুন উপায় বের করে প্রতারণা করে চলেছে। এর ফলে তাদের থামানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে।
অনলাইন জালিয়াতি এড়াতে তাই আমাদের বিশেষ সচেতন হওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যতক্ষণ কেউ নিজে সচেতন না হবেন, ততক্ষণ তিনি অনলাইনে প্রতারণার শিকার হতেই থাকবেন। এখন অনলাইন শপিংয়ের যুগ, মানুষ অনলাইনে ইলেকট্রনিক সামগ্রী থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পর্যন্ত কিনতে পছন্দ করেন। এর ফলে অনলাইন জালিয়াতির সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
বর্তমানে অনলাইন জালিয়াতির সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ফিশিং। স্ক্যামাররা টাকা লুঠ করতে পারে শুধুমাত্র ফিশিং ব্যবহার করে। ফিশিং হল প্রতারণার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। এতে, প্রতারক একটি আসল ওয়েবসাইট কপি করে ঠিক তার মতো একটি নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে। এরপর তার লিঙ্কটি এমন একটি বার্তা সহ পাঠায়, যা পড়ে অনেকেই সেই লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে নিজেকে আটকাতে পারেন না। এই ধরনের বার্তায় সাধারণত একটি অসাধারণ ডিসকাউন্ট, ডিল বা ফ্রি অফার দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই মেসেজটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্প্যাম লিঙ্কে ক্লিক করেন এবং জালিয়াতির পাল্লায় পড়েন।
স্প্যাম লিঙ্ক -
যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে অনেক সময় এই ধরনের লিঙ্ক আসে। যেখানে ১ টাকায় iPhone X বুক করার প্রস্তাব দেওয়া হয় অথবা ১০ টাকায় Samsung Galaxy S10 কেনার অফার থাকে। এই ধরনের মেসেজে স্প্যাম লিঙ্ক থাকে। এগুলো সবই ফিশিং লিঙ্ক যা জালিয়াতদের দ্বারা ডিজাইন করা হয়।
আরও পড়ুন - পুরুষের পর্দাফাঁস! Facebook-এর এই গ্রুপে ‘ডার্টি সিক্রেট চালাচালি’ করেন মেয়েরা
জাল ওয়েবসাইট -
অনেক সময় স্ক্যামাররা প্রতারণার জন্য জাল ওয়েবসাইটও তৈরি করে, যা হুবহু যে কোনও অনলাইন শপিং সাইটের মতো। ওয়েবসাইটের ফটো, বর্ণনা এবং রেটিং থেকে শুরু করে ফন্ট, এগুলো আসল সাইটের মতোই তৈরি করা হয়, যাতে কারও সন্দেহ না হয়, যে এটি একটি নকল ওয়েবসাইট।
অনলাইন শপিং জালিয়াতি এড়ানোর উপায় -
অনলাইন শপিং জালিয়াতি এড়ানোর সহজ উপায় হল, এমন একটি অফার বা মেসেজ যাতে কোনও আইটেম সস্তায় দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটিতে ক্লিক না করা। এছাড়াও, হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজের সত্যতাও আগে যাচাই করতে হবে।
যে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে একবার ভাল করে পড়ে নিতে হবে। যদি এতে কোনও বানান ভুল দেখা যায়, তবে সেটিতে ক্লিক করা উচিত নয়, কারণ সেটি স্প্যাম লিঙ্ক। কেউ ভুল করে ক্লিক করলেও নিজেদের কোনও তথ্য দেওয়া উচিত নয়।
অনেক সময় বার্তার সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত URL পাঠানো হয়, যা আসলে কোন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক তা জানা যায় না। অতএব, এই ধরনের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার আগে, সেই লিঙ্কের পিছনে কোন লিঙ্কটি লুকিয়ে আছে তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bank Fraud, Online Fraud, Online Shopping