নয়াদিল্লি: ভারতে ক্রিকেট মানে আলাদা একটা আবেগ। এখানে ক্রিকেট উৎসবের মতো পালিত হয়। এখন ক্রিকেটে অনেক নিয়মের বদল হয়েছে। কিছু পুরানো নিয়ম বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক নতুন নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে। মাঠে কারও প্রবেশ নিয়েও করা হয়েছে নতুন নিয়ম। আসুন জেনে নেওয়া যাক, পরিবর্তিত সব নিয়ম সম্পর্কে।
মাঠের কোনও ব্যক্তি, প্রাণী বা অন্য কোনও বস্তুর দ্বারা কোনো দল ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি ডেড বল হিসেবে ধরা হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি মাঠে প্রবেশ করে বা কুকুর যদি ম্যাচ চলাকালীন মাঠে দৌড়য় তবে আম্পায়ার ডেড বল ঘোষণা করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায়, দর্শকরা তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করতে মাঠে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় মাঠে, কুকুরও প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে কিছু সময়ের জন্য খেলা বন্ধও রাখতে হয়।
আরও পড়ুন- পাক বধ করে ফুটছে ভারতীয় দল, কবে কখন পরের ম্যাচ খেলবে মিতালি এন্ড কোং
ক্রিকেট আইনের রক্ষক মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এখন 'অনুচিত' বিভাগ থেকে অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যাটারকে রান আউট করার নিয়ম সরিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে বল উজ্জ্বল করতে লালার ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই পরিবর্তনগুলি অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটার ক্রিজ ছাড়িয়ে গেলে রান আউট করে বোলার। এই নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। অনেকে বলেন, এটি ক্রিকেট স্পিরিট-এর বিরুদ্ধে। তবে ভারতের অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সহ অনেক বোলার ব্যাটারদের এভাবে আউট করেছেন। তা নিয়েও সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর।
১৯৪৮ সালে এই ধরনের প্রথম ঘটনা ঘটেছিল। ভারতীয় তারকা ভিনু মানকড় অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার বিল ব্রাউনকে অন্য প্রান্তে এভাবে আউট করেছিলেন। এর আগে ব্যাটারকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া এটিকে 'মানকাডিং' বলে অভিহিত করেছিল। কিন্তু সুনীল গাভাস্কারের মতো অনেক তারকা মানকড়ের পাশে দাঁড়ান সেই সময়।
আরও পড়ুন- দুরন্ত ক্যাচ থেকে ম্যাচের ওপর টোটাল কন্ট্রোল, ক্যারিবিয়ান হাতে বধ ইংল্যান্ড
এমসিসি আরও বলেছে, বল উজ্জ্বল করতে লালা ব্যবহার করা যাবে না। করোনা মহামারীর কারণে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। এমসিসি বলেছে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লালা বলের নড়াচড়ায় কোনও প্রভাব ফেলে না। বলা হয়েছে, 'করোনা মহামারীর পরে যখন ক্রিকেট শুরু হল, তখন বিভিন্ন ফরম্যাটে খেলার শর্তে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, লালা ব্যবহার করা হবে না।
আরও বলা হয়েছে, 'এমসিসির গবেষণায় দেখা গিয়েছে বলের সুইংয়ে লালার কোনো প্রভাব নেই। বলকে উজ্জ্বল করতে ঘাম ব্যবহার করা যায়। সেটিও সমানভাবে কার্যকর। জানানো হয়েছে হয়েছে, 'নতুন নিয়মে বলের গায়ে লালা ব্যবহার করা হবে না। সেই সঙ্গে ফিল্ডারদের মিষ্টি জিনিস খাওয়ার পর বলে লালা লাগাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লালার ব্যবহারকে বলের অবস্থান পরিবর্তনের অন্য কোনো অনুপযুক্ত উপায়ের মতোই বিবেচনা করা হবে। কোডে পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিল এমসিসির নিয়মের উপকমিটি। গত সপ্তাহে মূল কমিটি অনুমোদন করেছে সেটি। অক্টোবর থেকে এসব পরিবর্তন কার্যকর হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cricket Rules, MCC