#টোকিও: টোকিওতে পদক জয়ের স্বপ্ন সফল হয়নি তাঁর। কিন্তু যে ভুল করেছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্যারিসে পরের অলিম্পিকে সফল হতে চান ভবানী দেবী। গেমস ভিলেজে দেখা হয়েছিল টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের সঙ্গে। ভবানীর একটা অনুরোধেই দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন জোকার। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কী সেই পরামর্শ। সার্বিয়ান তারকার কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন সাফল্যের রেসিপি? জোকোভিচ নাকি বলেছেন নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং কঠিন পরিশ্রম ছাড়া চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়।
নিজের উদাহরণ দিয়ে সার্বিয়ান তারকা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর জীবনের প্রথমদিকে রজার ফেডেরার এবং নাদালের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেও বারবার হেরে যেতেন। পরে শিখেছেন নিজের মনকে শান্ত রাখতে। বলেন পরিশ্রমের পাশাপাশি মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানার উপায় আসল শক্তি। এই উপদেশ মাথায় রেখে আগামী তিন বছর প্রস্তুতি নেবেন ভবানী।
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেই ইতিহাস তৈরি করেছিলেন ভবানী দেবী। ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসে তাঁর হাত ধরেই প্রথমবার অলিম্পিক্স ফেন্সিংয়ে কেউ প্রতিনিধিত্ব করলেন। প্রথম রাউন্ডে জিতে আশা তৈরি করেছিলেন। তবে পরের রাউন্ডে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে ছিটকে গিয়েছিলেন ভবানী। ফেন্সিংয়ের মহিলাদের সাবার রাউন্ড অফ সিক্সটি ফোরে তিউনিশিয়ার নাদিয়া আজিজিকে ১৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন ভবানী দেবী।
ফেন্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের শিরস্ত্রাণ, মাথা, কোমর, কব্জি সহ শরীরের ওপরের অংশে নিজের তরোয়াল ছোঁয়াতে পারলেই পয়েন্ট মেলে। তিউনিশিয়ার প্রতিপক্ষকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে হারান ভবানী। যাঁর ফেন্সিংয়ে আসাটাও বেশ নাটকীয়। স্কুলে পড়াকালীন অনেকরকম খেলায় অংশ নিতেন। শেষপর্যন্ত ফেন্সিংকে বেছে নেন পেশা হিসাবে।
একটা সময় দামি খেলা ফেন্সিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য মায়ের গয়না বন্ধক রাখা হয়েছিল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলা অ্যাথলিটদের যে কঠিন পথ অতিক্রম করে আসতে হয় সেটা বিলক্ষণ জানা আছে ভবানীর। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা পেয়েছেন। দেশের মানুষ যেভাবে তাকে প্রশংসা করেছেন এবং কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ যে সময় দিয়েছেন তা বৃথা যেতে দিতে চান না ভবানী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tokyo Olympics 2020