#টোকিও: সোনার পদক চেয়েছিলেন জিততে। কিন্তু পাননি। পরশু সেমিফাইনালে আজারবাইজানের হাজি আলিইয়েভের কাছে না হারলে সেই সুযোগ থাকত। কিন্তু ১২-৫ হেরে স্বর্ণ পদক জয়ের আশা ফুরিয়ে যায় বজরং পূনিয়ার। শনিবার কাজাকিস্তানের কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে ব্রোঞ্জ জিতলেন। কিন্তু পরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন অলিম্পিক পদক জয় কম কৃতিত্বের নয়।
তার জীবনের এটা প্রথম অলিম্পিক ছিল। চেয়েছিলেন স্বর্ণপদক জিততে। কিন্তু পারেননি। তাই জানিয়ে দিলেন খুশি হলেও আনন্দ লাফাতে পারবেন না। এমনিতেই ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন কিছু সংস্থাকে কুস্তিগীরদের নষ্ট করার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দাবি করেছে। ছেলেরা দুটি পদক পেলেও ভিনিশ ফোগাট, সীমা বিসলা, অংশু মালিকরা চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। বিদেশি কোচের পারফরম্যান্স নিয়েও সন্তুষ্ট নয় ভারতীয় ফেডারেশন।
বজরং অবশ্য নিজের মনের কথা বলেছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন এই অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকের থেকে বেশি সফল হতে পারতেন তিনি।শনিবার ভুল আর করেননি বজরং। অত্যধিক ডিফেন্সিভ না হয় সুযোগ পেলেই বিপক্ষের পা লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছেন। সেই লাভ পেলেন তিনি। ৮-০ ব্যবধানে জিতে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করলেন ভারতের পুরুষ কুস্তির এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় নাম।
কিন্তু এখানে অনেকেই জানেন না শেষ ম্যাচে কাজাক প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নামার আগে একটা বিশাল ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। রাশিয়ায় অনুশীলন করতে গিয়ে ডান পায়ের হাঁটুতে যে চোট পেয়েছিলেন তাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম অনুশীলন করে নামতে হয়েছিল বজরংকে।
কিন্তু তাঁকে কোচ এবং ফিজিও বারবার হাঁটুর ব্রেস লাগিয়ে নামার অনুরোধ করলেও কথা শোনেনি। ব্রেস লাগিয়ে খেললে অসুবিধা হয় তাঁর। মনে হয় কেউ পা টেনে রেখেছে। তাই হাঁটু খালি রেখেই নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কপাল ভাল চোট লাগেনি। লাগলে কিন্তু বিপদে পড়তেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন লাগলে পরে ব্যথা কমে যাবে, কিন্তু পদক হাত থেকে বেরিয়ে গেলে, আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tokyo Olympics 2020