হোম /খবর /খেলা /
উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী, এক মাসের মধ্যেই হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর কাজ শুরু?

Bengal Hockey: উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী, এক মাসের মধ্যেই হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর কাজ শুরু?

মিটবে সমস্যা?

মিটবে সমস্যা?

Bengal Hockey: হকির প্রাক্তন অলিম্পিক পদকজয়ী বাংলার খেলোয়াড় বীর বাহাদুর ছেত্রী, গুরবক্স সিংরা ফের একবার অ্যাস্ট্রোটার্ফের দাবি তোলেন। এরপরই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিষয়টির উপর আলোকপাত করেন।

  • Share this:

#কলকাতা: টোকিওতে যখন ভারতীয় হকির পুনর্জন্ম, তখন ধুঁকছে বাংলার হকি। নেই একটিও অ্যাস্ট্রোটার্ফ‌। কোনরকমে ঘাসের মাঠেই চলে অনুশীলন। এমনকি রেড রোডের ধারে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিপজ্জনকভাবে চলছে হকির অনুশীলন। গত ১০ অগস্ট এই শীর্ষক একটি শিরোনাম প্রকাশিত হয় নিউজ 18 বাংলা-র ওয়েবসাইটে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে ক্রীড়া প্রশাসন। শোরগোল পড়ে যায় হকি মহলে। হকির প্রাক্তন অলিম্পিক পদকজয়ী বাংলার খেলোয়াড় বীর বাহাদুর ছেত্রী, গুরবক্স সিংরা ফের একবার অ্যাস্ট্রোটার্ফের দাবি তোলেন। এরপরই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিষয়টির উপর আলোকপাত করেন।

নিউজ 18 বাংলা-র পক্ষ থেকে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। অরূপ বিশ্বাস জানান, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অ্যাস্ট্রোটার্ফ করার নির্দেশ দিয়েছেন। করোনার কারণে কাজ আটকে ছিল। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে টেন্ডার ডেকে শুরু হবে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর কাজ।" কোথায় বসানো হবে হকির জন্য অ্যাস্ট্রোটার্ফ তা নিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যা ছিল। ময়দান নাকি গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম নাকি কিশোর ভারতী উঠে এসেছিল একাধিক নাম। তবে ক্রীড়া মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে জানান, "ইতিমধ্যেই হকির জন্য নির্দিষ্ট অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভিতরে হায়াত হোটেলের উল্টো দিকে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা রয়েছে। হকি সংস্থার লোকজন সেই জায়গা দেখে গেছেন। আশা করি টেন্ডার পাশ হয়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।"

ক্রীড়া মন্ত্রীর আশ্বাসকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের হকি সংস্থার সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। হকি বেঙ্গলের সভাপতি স্বপন বাবু জানান, "দিদি দীর্ঘদিন আগেই অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল। কোন অজ্ঞাত কারণে সেই কাজ এগোয়নি। ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলতে পারবেন সঠিক কারণটি। তবে এখন যদি টেন্ডার ডাকার কাজ হয় তাহলে সাধুবাদ। দীর্ঘদিন আমাদের লড়াই ছিল বাংলায় হকির জন্য অ্যাস্ট্রোটার্ফ করার। আশা করি ক্রীড়ামন্ত্রী নিজের কথা রাখবেন। আধুনিক হকি অ্যাস্ট্রোটার্ফ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই একটি নয়, একাধিক কৃত্রিম ঘাসের মাঠ হওয়া প্রয়োজন। রাজ্য সরকার দ্রুত মাঠ তৈরি করে দিলে বাংলার তরুণ হকি খেলোয়াড়দের সুবিধা হবে।"

যদিও রাস্তার ধারে অনুশীলন করার প্রসঙ্গে স্বপন বাবু বলেন, "আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। বিপজ্জনকভাবে অনুশীলন করা ঠিক নয়। আমাদের এমনি ঘাসের মাঠ রয়েছে সেখানেই অনুশীলন করার কথা। কোন কারণে বৃষ্টির ফলে হয়তো মাঠ শুকনো ছিল না তাই রেড রোডের ধারে অনুশীলন হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।" সব মিলিয়ে জাতীয় ক্রীড়া দিবসের দিন হকি নিয়ে আশার বাণী শোনা গেল বাংলার ক্রীড়া প্রশাসকের তরফ থেকে। এখন দেখার কবে বসে অ্যাস্ট্রোটার্ফ।

Published by:Suman Biswas
First published: