MS Dhoni: ফিনিশ নয়, এখনও ফিনিশার ধোনি! মাহির কাঁধে ভর করেই জয়ে ফিরল সিএসকে

ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিএসকে। প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় পাওয়াক প্লে-তে বেশি রান করতে পারেনি লখনউ সুপার জায়ান্টস। ওপেনে মিচেল মার্শ ৩০ রানের ইনিংস খেললেও বড় স্কোর করতে পারেননি। চাপের মুহূর্তে প্রতিযোগিতায় প্রথম রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ। কার্যত একার হাতে দলকে টানেন এলএসজি অধিনায়ক। সেট হওয়ার পর খেলেন একাধিক আক্রমণাত্মক শট। পন্থের ব্যাটে ভর করেই ১৫০ রান পার করে এলএসজি।

শেষের দিকে ঋষভ পন্থকে সঙ্গ দেন আবদুল সামাদ। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন পন্থ ও সামাদ। আবদুল সামাদ ২০ রান করে আউট হন। শেষ দ্রুত রান করতে গিয়ে আউট হন পন্থ। ৪৯ বলে ৬৩ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সিএসকের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মাথিসা পাথিরানা।

রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে শুরুটা ভালই করে সিএসকে। শেইক রাশিদ ও রাচিন রবীন্দ্র পাওয়ার প্লে মারকাটারি ব্যাটিং করেন। ৫০ রানের পার্টনারশিপও করেন সিএসকের দুই ওপেনার। কিন্তু শেইক রাশিদ ২৭ ও রাচিন রবীন্দ্র ৩৭ রান করে আউট হতেই ব্যর্থ সিএসকের মিডল অর্ডার। রাহুল ত্রিপাঠী, রবীন্দ্র জাদেজা ও বিজয় শঙ্কররা কেউ বড় রান করতে পারেননি।

১১১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। কমে যায় রানের গতিও। এরপর ক্রিজে আসেন ধোনি। লাগাতার ষষ্ঠ হার সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু কামাল দেখালেন বুড়ো ধোনি। শিবম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে শুধু ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপ করলেন তাই নয়, আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ধোনিরা ফিনিশ হয় না ফিনিশ করে। শিবম দুবে ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন। ধোনি ১১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ের সৌজন্যে ২৬ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় সিএসকে।