#কলকাতা: চলতি মরশুমে প্রথম লেগে কান্তিরাভায় দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে শেষ হাসি হেসেছিল হুয়ান ফেরান্দোর দল। তবে টানা চারটি ম্যাচ জিতে রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নেমেছিলেন রয় কৃষ্ণরা। গত কয়েক মরশুম ফিজির এই তারকার কাঁধে ভর দিয়েই একের পর এক বৈতরণী পার করেছিল এটিকে মোহনবাগান। তাই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে ছিলেন রয়।
তবে বিএফসি’র জয়ের দৌড় থামিয়ে ঘরের মাঠে ছন্দ ধরে রাখতে মরিয়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই লক্ষ্যে কোচ ফেরান্দোর হাতিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলই ভরসা ছিল। কার্ড সমস্যায় বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হুগো বোমাস ও আশিক কুরুনিয়ানকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছিল বাগানের স্প্যানিশ কোচকে।
রবিবার জিতলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে মোহনবাগান। বোমাসের পরিবর্তে রবিবার শুরু থেকে ছিলেন ফেডরিকো গালেগো। তবে আপফ্রন্টে ছন্দহীন লিস্টন কোলাসো টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছেন। রবিবার শুরু থেকে আক্রমণ বেশি ছিল মোহনবাগানের। শুভাশিস, প্রীতম, হ্যামিল, আশীষ রাইদের ডিফেন্স সেভাবে জায়গা দিচ্ছিল না কৃষ্ণ, জাভিদের।
দিমিত্রি, আসিস গোল করার কাছাকাছি এসে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ারদের শুরু থেকে চাপ বাড়িয়েছিল বেঙ্গালুরু। তবে ৬০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ মিস করেন মোহনবাগানের গালেগো। এদিন উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার চেষ্টা করলেন বটে। কিন্তু এই দলের সঙ্গে তিনি পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেননি। লিস্টন, প্রীতম গোল করার সহজ সুযোগ পেলেও নষ্ট করেন।
যত সময় যাচ্ছিল বিরক্ত হয়ে পড়ছিলেন খেলা দেখতে আসা মোহনবাগান সমর্থকরা। রবিবারের বাজারে নিজেদের ঘরের মাঠে ড্র পছন্দ নয় সমর্থকদের। দেখে মনে হচ্ছিল মোহনবাগানের গোল পাওয়ার প্ল্যান বি নেই। ৭৭ মিনিটে গোল পেয়ে গেল বেঙ্গালুরু। রওশন সিং এর ক্রস থেকে ভলিতে গোল করেন জাভি হার্নান্দেজ।
কিন্তু সুযোগ ছিল না গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে। ৯০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল বেঙ্গালুরুর। সেই রয়ের কৃষ্ণ গোল করলেন। করেই হাত জড়ো করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে। অতিরিক্ত সময় মোহনবাগানের পক্ষে একটি গোল করেন দিমিত্রি। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুর কাছে হেরেই মাঠ ছাড়তে হল সবুজ মেরুনকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।