#জোহানেসবার্গ: শনিবার সেঞ্চুরিয়নে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। রাহুল-রাহানেকে এগারোয় ফিরিয়ে জোড়া বদল আনতে পারে কোহলির ভারত। কোপ পড়তে পারে শিখর-অশ্বিনে। উল্টোদিকে আফ্রিকা স্টেইনের বদলির খোঁজে ঝুঁকে মরিস-লুঙ্গির দিকে। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হারলে চলবে না বিরাটদের।
উপমহাদেশের দলের জন্য আফ্রিকায় সবচেয়ে অপছন্দের উইকেট কোনটা ? গোপন ব্যালটে ভোট হলে নিঃসন্দেহে জিতবে সুপারস্পোর্টস পার্ক। সেঞ্চুরিয়নের মাঠে উপমহাদেশের কোনও দল কখনও ইনিংস হার এড়াতে পারেনি। উল্টোদিকে ২২ বার খেলে ১৭টা টেস্ট জিতে ৭৭ শতাংশ সাফল্য নেলসন ম্যান্ডেলার দেশের। মানে, নিজেদের পাড়ায় এটাই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে পয়া মাঠ। একনম্বরের তাজ অটুট রাখতে শনিবার এখানেই শুরু বিরাটের ভারতের আসল যুদ্ধ। পাশাপাশি ‘কেপটাউন হরর’ মন থেকে মুছে ফেলে সেঞ্চুরিয়ন জুজু জয় করার চ্যালেঞ্জ।
ওপেনে ডান-বাম জুটির তত্ত্ব ধোপে টিকছে না নিউল্যান্ডসে ধাওয়ানের ভুলভাল শট বাছাইয়ে। রোহিতকে একটা টেস্ট খেলিয়েই ছেঁটে ফেলার বিরোধী শাস্ত্রী-কোহলিরা। তাই কোপ পড়ার আশঙ্কা একমাত্র স্পিনার অশ্বিনের উপর। রাহুল আর রাহানের এগারোয় ঢোকার সম্ভাবনা যে জোরাল, সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন বিরাটের কথাতেই তা স্পষ্ট।
আফ্রিকার অঙ্কটা তুলনায় সহজ। স্টেইনের বদলির দৌড়ে দুই ভূমিপুত্র। অলরাউন্ডার ক্রিস মর্কেল অনেকদিন টেস্ট খেলেননি। অন্য চ্যালেঞ্জার লুঙ্গি এনগিদি ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে ধারাবাহিক। পেস ব্যাটারির চার্জ বাড়াতে এদেরই একজনকে বেছে নেবেন ডুপ্লেসি-গিবসন। উল্টোদিকে ইশান্তের নাম হাল্কা ভাসলেও ভারত কেপটাউনের পেস-অ্যাটাকেই ঝুঁকে। মানে ভুবি, বুমরাহর সঙ্গে ১০০ থেকে মাত্র ১ উইকেট দূরে থাকা শামি। আর পেসার-অলরাউন্ডার হিসেবে ফের হার্দিক। তবে বিদেশ-বিভূঁই হলেও কোনও স্পিনার ছাড়া চার পেসারে ভারত কষ্মিনকালেও নামেনি। ইতিহাস গড়তে আসা সিরিজে সেই ইতিহাসকে পাত্তা না দেওয়াও বিরাট চ্যালেঞ্জ বিশ্বের একনম্বর দলের কাছে।