মেয়ে ভারতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন, বাবা-মা দিনমজুর! রোজ পান ২৫০ টাকা!

Last Updated:

Ashtam Oraon: জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের বাড়ির সামনে ভাঙাচোরা রাস্তা। সেই রাস্তা সারাচ্ছে প্রশাসন। আর সেখানেই দিনমজুর ক্যাপ্টেনের বাবা-মা!

#রায়পুর: ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলা আজকাল খবরের শিরোনামে রয়েছে। আসলে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা দলের নেতৃত্বে রয়েছেন গুমলা জেলার বিশুনপুর ব্লকের সুদারবর্তি গ্রামের মেয়ে অষ্টম ওরাওঁ।
অষ্টমের বাড়িতে ম্যাচ দেখার জন্য টিভি ছিল না। এমনকী রেডিও পর্যন্ত ছিল না তাঁর বাড়িতে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানোর পথ বেশ দুর্গম। মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি পৌঁঁছয়। প্রথমে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেনের বাড়িতে টিভি পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তাও মেরামত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- এখন কী করবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়,দাদার হাতে রয়েছে ৫টি বিকল্প
অবাক করার মতো বিষয়, অষ্টমের বাবা-মা দুজনেই বাড়ির সামনের ওই রাস্তা তৈরির কাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। দুজনকেই রাস্তায় কাজ করতে দেখা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে দুজনেই দিনের মজুরির বিনিময়ে কাজ করছেন। রোজ পান আড়াইশো টাকা।
advertisement
advertisement
গুমলা জেলার বিষনপুর ব্লকের বানারী গোড়াতলি গ্রামে এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা অষ্টম ওরাওঁর বাড়ি পর্যন্ত তৈরি হওয়ার কথা। ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়কের পরিবার দুর্দশার কবলে পড়লেও লড়াই করেছে। দারিদ্র্যঅষ্টমীর বাবা হীরা ওরাওঁ জানান, শ্রমিকের কাজ না করলে সংসার চলবে না। মেয়ে ভারতের অধিনায়ক হওয়ায় খুশি অষ্টমের মা তারা দেবী। তবে এখনই তাঁরা দিনমজুরের কাজ ছাড়তে নারাজ।
advertisement
অষ্টমের মা বলছিলেন, মেয়ে যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা হৃদয় দিয়ে করে। অষ্টমের বাবা প্রতি বছর বেঙ্গালুরু যেতেন একটা সময়। অষ্টমের দাবিতে বাবা আর রোজগারের জন্য ব্যাঙ্গালোরে যাননি। বেঙ্গালুরুর টিকিট ক্যানসেল করে গ্রামে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন- চিন্তা কিছুতেই কমছে না রোহিত শর্মার, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন আরও এক পেসার
তাঁর মা জানান, দারিদ্র্যের কারণে মেয়েকে জল-ভাত ও শাক খাইয়ে বড় করেছেন। মেয়ে একটা কিছু কাজ শুরু করলে তাঁরা দিনমজুরির কাজ ছেড়ে দেবেন বলে জানান।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
মেয়ে ভারতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন, বাবা-মা দিনমজুর! রোজ পান ২৫০ টাকা!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement