দক্ষিণ আফ্রিকা -৯৪/৪জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ২১১ রান
#জোহানেসবার্গ: তৃতীয় দিন বল করতে গিয়ে পা মচকে গিয়েছিল তার। ফলে বেশি চাপ নিতে পারেননি। কিন্তু চতুর্থ দিনে বেলা শেষে জসপ্রীত বুমরাহর জোড়া আঘাতে জয়ের জায়গায় রয়েছে ভারত। সেঞ্চুরিয়নে চতুর্থ ইনিংসে সব থেকে বেশি ২৪৯ রান তাড়া করার নজির রয়েছে। ফলে নামার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভারতীয় বোলারদের সৌজন্যে দিনের শেষে আরও চাপে তারা।
দ্বিতীয় ওভারেই এইডেন মার্করামকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ শামি। কিগান পিটারসেন আউট হন সিরাজের বলে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন ডিন এলগার এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্তু যশপ্রীত বুমরার অসাধারণ বলে ফিরলেন ডুসেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি অনেকটা বাঁক খেয়ে ডুসেনের অফস্টাম্প নড়িয়ে দেয়।
নৈশপ্রহরী কেশব মহারাজকে নামিয়ে সামাল দিতে চেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে তাঁকেও দুরন্ত ইয়র্কারে ফিরিয়ে ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণে এনে দিলেন সেই বুমরাই। অর্ধশতরান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগার। মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরুর প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন কোহলি।
মার্কো জানসেনের বলে ক্যাচ দিলেন উইকেটকিপারের হাতে। ভারত অধিনায়কের অবদান মাত্র ১৮। আরও একটা বছর শতরান ছাড়া চলে গেল। দিনটা শুরু হয়েছিল ব্যাটারদের ব্যর্থতা দিয়ে। শেষ হল বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়নের জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। ৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯৪ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট চলে গিয়েছে।
ফলে শেষ দিনে জিততে ভারতের দরকার ৬ উইকেট। ভারতের এই রান দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটিং লাইনআপের তাড়া করার ক্ষমতা নেই জানা ছিল। ডুপ্লেসি এবং ডি ভিলিয়ার্স না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শক্তি অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচ জিতে নিতে পারলে সিরিজের বাকি দুটো টেস্ট এই দক্ষিণ আফ্রিকা দল খুব বেশি কামব্যাক করতে পারবে বলে মনে হয় না।
এমনিতে সেঞ্চুরিয়ান দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ বলে পরিচিত। এই মাঠে তাদের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ভারতীয় দল গত ২৯ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ জেতেনি। কিন্তু এবার চাকা ঘোরানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে রাহুল দ্রাবিড় এবং বিরাট কোহলির সামনে। পঞ্চম দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আবার পরিষ্কার আবহাওয়া থাকার কথা রয়েছে অনেকটা সময় জুড়ে।
এখন কতটা সময় খেলা হয় সেটাই দেখার। খেলা হলে ভারতের জয় সময়ের অপেক্ষা বলা যায়। বরুণদেব যদি মাঝপথে না আসেন, তাহলে বৃহস্পতিবার ১-০ এগিয়ে যাওয়া ভারতের সময়ের অপেক্ষা। বাভুমা এবং কুইন্টন ডি কক কতটা প্রতিরোধ করতে পারেন সেটাই দেখার। তবে এই ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ হবে অশ্বিনের ভূমিকা। পিচ ক্র্যাক তৈরি হয়েছে। ফলে বাড়তি ঘূর্ণি পেতে পারেন তিনি। সব মিলিয়ে খেলা হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁচার সুযোগ কম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IND vs SA, Jasprit Bumrah