কলকাতা: তিনি বিশ্বজয়ী বাঙালি। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, মেয়েদের ক্রিকেট কে দেখে! তবে হৃষিতা বসুর মতো তারকাদের জন্যই মেয়েদের ক্রিকেট বারবার জ্বলে ওঠে।
হাওড়ার দাসনগরের হৃষিতা বসুকে নিয়ে এখন গর্বিত গোটা দেশ। অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। মায়ের হাত ধরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়েছিলেন হৃষিতা। তার পর একটা ছোট্ট ট্রায়ালেই বাজিমাত। হাওড়ার দাস বাড়ি পরিচিত পেয়ে গেল হৃষিতার বাড়ি হিসেবে।
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারতের দুরন্ত জয়ের ছবি দেখুন, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দল
স্বপ্নপূরণ হয়েছে তাঁর। তবে বাংলার এই ক্রিকেটার জানেন, আরও অনেকটা পথ চলা বাকি। তাই বিশ্বকাপ জিতেও তাঁর পা মাটিতে। তিনি আরও অনেকটা পথ চলতে চান। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে আরও অনেক পুরস্কার হাতে তুলতে চান।
‘ফিনিশার’, ‘ক্যুইক স্টাম্পার’- এমন সব বিশেষণ শুনতে ভালই লাগছে হৃষিতার। মহিলাদের ক্রিকেটে ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজরা অনেকের আদর্শ। তবে হৃষিতা বরাবর এমএসডি-র ফ্যান। ধোনি হতে চেয়েই তাঁর ক্রিকেট ব্যাট-গ্লাভস হাতে তুলে নেওয়া। আর এবার মহিলা ক্রিকেটের ধোনি হয়ে উঠতেই নিজেকে তৈরি করছেন তিনি।
মহিলাদের আইপিএল নিয়ে বিসিসিআই এবার প্রচণ্ড সিরিয়াস। তা ছাড়া মেয়েদের আইপিএলে এবার বিনিয়োগ প্রচুর। তাই বড় স্বপ্ন দেখছেন হৃষিতার মতো অনেক ক্রিকেটার। এমনিতেই বিশ্বজয়ী দলের সদস্য তিনি। ফলে আইপিএলের নিলামে তাঁর যে লক্ষ্মীলাভ হবে তা বলাবাহুল্য।
নিলামে হৃষিতা হয়তো বড় অঙ্কের প্রস্তাব পাবেন! তবে তার আগে হৃষিতার মুখে আক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে। তিনি বলছিলেন, ''একটা সময় ২০ টাকা দিতে পারিনি বলে খেলতে দেয়নি।''
আরও পড়ুন- মহম্মদ শামি বোলার নাকি ব্যাটার? যা রেকর্ড করলেন বিরাট কোহলিও বিশাল চাপে
২০ টাকার জন্য তাঁর মতো ক্রিকেটার খেলায় সুযোগ পাননি! হৃষিতা বলেন, ''আগে লাল বলের দাম পড়ত ১৮০ টাকা মতো। স্যর সবার থেকে ২০ টাকা করে নিতেন বল কেনার জন্য। একদিন আমি দিইনি। আমাকে সারাদিন ব্যাটিং করতে দেয়নি। পরে মা গিয়ে স্যারকে ১০০ টাকা দিয়ে আসে। ওই দিনটা আমি ভুলব না''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।