#মিউনিখ: প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে শেষ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনটে গোল করেছিল পর্তুগাল। একাই নায়ক হয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জার্মানির বিরুদ্ধে তিনি ছাড়া পর্তুগালের আর বলার মতো কিছু নেই। পুরোটাই যেন অন্ধকার। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের একেবারে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে জার্মান জায়ান্টরা। রক্তাক্ত এবং বিধ্বস্ত পর্তুগাল শিবির। হাতে বেশি সময় নেই। দিন তিনেকের ভেতর লড়তে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।
হারের হ্যাঙ্গওভার কাটিয়ে লড়াকু মানসিকতা ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। এই হারে সরাসরি শেষ ষোলোতে ওঠাটাই শঙ্কার মুখে পড়ে গেছে পর্তুগালের। এত কিছুর পরও খেলোয়াড়দের কোনো দোষ দেখছেন না পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এমন একটা হারের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি। তাঁর কৌশলটা জার্মানির দুর্দান্ত খেলার কাছে হেরে গেছে বলেই মনে করেন সান্তোস। ম্যাচ শেষে এই হারের সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন সান্তোস, 'এই ম্যাচে মাঝমাঠে আমরা কৌশলে একটু পরিবর্তন এনেছিলাম। আমরা মাঝমাঠে ওদের খেলোয়াড়দের চাপ দিতে চেয়েছি। চেয়েছিলাম আমাদের ফুল-ব্যাকরা ওপরে উঠে আক্রমণে সাহায্য করুক।'
এর ফল কী হয়েছে সেটা সবাই দেখতে পেয়েছে। সান্তোস বলেন, 'এটা পরিষ্কার যে মাঝমাঠে একজন খেলোয়াড়ের অভাব ছিল আমাদের। এটা আসলে আমার কৌশল ছিল। সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী।' দুই ম্যাচে একটি জয় ও একটি হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে পর্তুগাল। দুই ম্যাচে একটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ফ্রান্স। পর্তুগালের সমান ৩ পয়েন্ট পেয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে জার্মানি। সব মিলিয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়াটা শঙ্কায় পড়ে গেছে পর্তুগালের।
সান্তোসের কথা, 'আমরা পরের রাউন্ডে যেতে পারব কী পারব না সেটা আমাদের হাতেই আছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের।' জার্মানি ম্যাচের রাইট ব্যাক নেলসন সেমেদোকে মাটি ধরিয়ে দিয়েছেন জার্মান ফুটবলার রবিন গসেনস। লেফট ব্যাক রাফায়েল আক্রমণে যতটা সাবলীল, রক্ষণে নয়। করোনা আক্রান্ত ক্যানসেলো না থাকায় পর্তুগাল ডিফেন্সের ওপর চাপ বেড়েছে সন্দেহ নেই। লেফট ব্যাক নুনো মেন্দেজ চোটের কারণে এখনও মাঠে নামতে পারেননি। ফরাসিদের বিপক্ষে তাঁকে অন্তত ফিট করে তোলার চেষ্টা হবে।
পর্তুগাল কোচ ফুটবলারদের মানসিকতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। গ্রুপে তিন নম্বরে থাকলেও শেষ ১৬ যাওয়া সম্ভব। গতবার গ্রুপ পর্বের একটিও ম্যাচ না জিতে পরের পর্বে গিয়েছিল পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়। তাই এবারও আশা হারাতে রাজি নয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020