#লন্ডন: তিনি বরাবর সহজ কথা সহজ ভাবে বলতে ভালোবাসেন। অপ্রিয় সত্যি কথা বলে দিতে পরোয়া করেন না। কেভিন পিটারসেন এবার গর্জে উঠলেন। নিজের দেশের ফুটবল সমর্থকদের নক্কারজনক কাজকর্মে বিরক্ত তিনি। হাতের কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দিতেন। ইংরেজদের অভব্য আচরণে লজ্জিত সেই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। লজ্জায় এতটাই মাথা কাটা যাচ্ছে তাঁর যে, ২০৩০ সালে ইংল্যান্ডে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের কোনও যোগ্যতা নেই বলে মনে করছেন তিনি।
রবিবার ইউরো কাপের ফাইনালে ইটালির কাছে টাইব্রেকারে হারে ইংল্যান্ড। তিন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার মার্কাস র্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যাঞ্চো ও সাকা টাইব্রেকারে পেনাল্টি নষ্ট করেছেন। সেই হারের জ্বালা হজম করতে না পেরে একদল সমর্থক এই তিন ফুটবলারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নেট মাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে। আর সেটাই মেনে নিতে পারছেন না কেপি। ২০৩০ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ আয়োজন হবে। পিটারসেন মনে করেন তাঁর দেশ বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্য নয়।
কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন পিটারসেন। কেপি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের অনেক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ ম্যাচের পর প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে মানুষের প্রতি মানুষের এমন ব্যবহার কি আদৌ কাম্য? এরপরেও কি আমাদের দেশে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ হওয়া উচিত?’ তিনি আরো জানিয়েছেন যখন কৃষাঙ্গ ফুটবলারদের করা গোলে দল জেতে, তখন পুরো স্টেডিয়াম সেলিব্রেট করে। তখন তো দেখা হয় না গোল কে করেছে। ইংল্যান্ড জিতেছে সেটাই আসল ব্যাপার বলে গণ্য হয়।
পাশাপাশি ইতালির সমর্থকদের গায়ে হাত তোলা এবং ইতালির পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া যে প্রচন্ড অন্যায় হয়েছে মেনে নিচ্ছেন পিটারসেন। এটা জাতীয় লজ্জা মনে করেন তিনি। নিজেদের ভদ্র বলে দাবি করা ব্রিটিশদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে গিয়েছে ফাইনাল হেরে। অনেকে তো দাবি তুলেছেন ভবিষ্যতে যেন ফিফা ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কোনও ম্যাচ না দেয়।
ডেভিড বেকহাম থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পর্যন্ত এই নিন্দনীয় ঘটনার জন্য লজ্জিত বোধ করেছেন। এই যুগে এখনও মনের ভেতর এত ঘৃনা পুষে রাখা মানুষের পক্ষে কিভাবে সম্ভব প্রশ্ন উঠছে। লোক দেখানো হাঁটু গেড়ে বসা যতই চালু থাক, মনের ভেতর এখনও যে কৃষ্ণাঙ্গদের কোন চোখে দেখা হয় সেটা পরিষ্কার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020