Paradip Ghosh
#দূর্গাপুর: প্রণয় হালদার, শৌভিক চক্রবর্তী, পিন্টু মাহাতো, তীর্থঙ্কর সরকার। নামের তালিকা করতে বসলে শেষ হওয়ার নয়। ভারতীয় দল থেকে আইএসএল কিংবা আই লিগ। মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোতে প্রতিষ্ঠিত ফুটবলারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির পর কলকাতা ময়দানকে এত সংখ্যকতারকা দেয়নি দেশের অন্য কোন ফুটবল অ্যাকাডেমি। দূর্গাপুরে সবুজ-মেরুনের সেই অ্যাকাডেমিতেই এখন বিসর্জনের সুর। বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সেল-মোহনবাগান অ্যাকাডেমি। বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে আবাসিক ফুটবলারদের।
কারণ হিসেবে যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, অ্যাকাডেমি সংস্কারের কথা। কিন্তু সূত্রের খবর আর্থিক দেনার দায়ে ডুবে আছে মোহনবাগান অ্যাকাডেমি। ফি-বছর সেল থেকে যে অর্থ সাহায্য আসত লাল ফিতের ফাঁসে তাও অনিয়মিত। অঞ্জন মিত্র বেঁচে থাকতে ক্লাব থেকে যা একটু-আধটু অর্থ সাহায্য আসত, মিত্তিরসাহেব ক্লাব ছাড়ার পর তাও এখন ডুমুরের ফুল। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রণয় হালদার, পিন্টু মাহাতো, শৌভিক চক্রবর্তীদের ফুটবল পাঠশালা। সূত্রের খবর, অ্যাকাডেমির দেনার অঙ্ক প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। কবে খুলবে মোহনবাগান অ্যাকাডেমি? অসহায় শোনাচ্ছিল অ্যাকাডেমির সচিব তপন রায়কে। নির্দিষ্ট করে কোন সময়সীমা বলতে পারছেন না। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্পনসর জোগাড় করে দেনা শোধের চেষ্টায় অ্যাকাডেমি সচিব। অ্যাকাডেমি কবে খুলবে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে না পারলেও হাল ছাড়ছেন না তপন রায়। বরং স্পনসর জটিলতা কাটিয়ে ফের একদিন মোহনবাগান অ্যাকাডেমি খুলবে বলেই বিশ্বাস তাঁর। বিড়বিড় করেছিলেন, ‘অঞ্জন মিত্র বেঁচে থাকতে অর্থের সমস্যা হয়নি। বিভিন্ন টুর্নামেন্টের প্রাইজ-মানি অ্যাকাডেমির নামে নিতেন প্রয়াত ক্লাব সচিব। আর তাতেই আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠত অ্যাকাডেমি।’