#কলকাতা: আইপিএল খেলতে ধোনি, বিরাট, রোহিতরা ইতিমধ্যেই উড়ে গিয়েছেন মধ্য প্রাচ্যের মরুশহরে। কোভিড পরিস্থিতিতে এবার সব খেলাতেই জারি হয়েছে নতুন ফরমান। ফুটবলেও নিউ নর্মাল। ঘরের মাঠেও খেলা শুরু করতে তারই তোড়জোড়। কোভিড পরবর্তী জমানায় সেপ্টেম্বরে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন দিয়ে ফুটবল মরশুম শুরু হচ্ছে এই দেশে। ফেডারেশন কর্তারা আই লিগের মতো করেই দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ আয়োজনের জন্য বেছে নিয়েছেন এই রাজ্যকে।
বাংলা থেকে এবার আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনে অংশগ্রহণকারী দল মহমেডান স্পোর্টিং ও ভবানীপুর ক্লাব। সেপ্টেম্বরে ৫ দলের কোয়ালিফাইং পর্বে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই শিকে ছিড়বে বাংলার মাটিতে চলতি মরশুমেই আই লিগ খেলার। সোনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না তাই কোন পক্ষই। মহমেডান স্পোর্টিং তো সাড়া জাগানো দলও করে ফেলেছে। ভবানীপুরও পিছিয়ে নেই। সাধ্য মত দল সাজিয়ে তাল ঠুকছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর কোচিংয়ে তৈরি হওয়া ভবানীপুর। আগামী সপ্তাহেই অনুশীলনের নেমে পড়ার ব্লু-প্রিন্ট সাজিয়ে ফেলেছে দুই ক্লাব।
মহমেডান তো এক ধাপ এগিয়ে অনুশীলনে নামার আগে সব ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের কোভিড পরীক্ষা পর্যন্ত করে নিল। দলের চিফ কোচ ইয়ান ল থেকে তারকা বিদেশি ফুটবলার উইলস প্লাজা কিংবা ভারতীয় ফুটবলার তীর্থঙ্কর সরকার। কল্যাণীতে আবাসিক শিবির শুরুর আগে ক্লাবের আয়োজন করা কোভিড পরীক্ষায় পাশ করতে হয়েছে সাদা-কালোর প্রত্যেক ফুটবলারকে। কল্যাণীতে আবাসিক শিবিরে থেকেই অনুশীলন করবেন মহামেডান ফুটবলাররা।
ফেডারেশনের নির্দেশ মত জৈব সুরক্ষা বলয় অটুট রাখতে ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ ছাড়া অনুশীলনেও অন্য কোন পক্ষের উপস্থিতির অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মহমেডান ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস বলছিলেন,"ফুটবলারদের সুরক্ষার দিকে নজর দিতেই এই ব্যবস্থা। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ফুটবলারদের ফেডারেশনের পাঠানো অনুশাসন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ক্লাব।" ভবানীপুর ক্লাবের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও তাঁর কোচিং স্টাফ ও ফুটবলারদের মধ্যে একই ধরনের অনুশাসন চালু করার পক্ষে।
PARADIP GHOSH