ডেনমার্ক -১ ( পলসেন ) বেলজিয়াম -২ ( থরগেন, ডি ব্রইন )
#কোপেনহেগেন: ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন পর্ব কাটিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছিল ডেনমার্ক। সেই মাঠে, যে মাঠে দুর্ঘটনা ঘটেছিল এরিকসেনের। ম্যাচের দুই মিনিটেই এগিয়ে গেল ডেনমার্ক। স্ট্রাইকার পলসেন টপ বক্স থেকে দেখেশুনে দুর্দান্ত ফিনিশ করলেন। বেলজিয়ান গোলরক্ষক করতোয়া শরীর ছুঁড়ে দিয়েও আটকাতে পারেননি। প্রথম পনেরো মিনিট দর্শক সমর্থন যেন আরও তাতিয়ে দিয়েছিল ড্যানিশদের। পরপর আক্রমণ তুলে আনছিল তাঁরা। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলছিল তাঁরা। শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়ে হাসপাতালে শুয়ে থাকা এরিকসেনকে জয় উৎসর্গ করতে চাইছিল লাল জার্সিধারীরা।
কিন্তু ফুটবলে আবেগ এক জায়গায়, জয়ের স্ট্র্যাটেজি অন্য জায়গায়। পৃথিবীর শীর্ষ স্থানীয় দল বেলজিয়াম ঘুরে দাঁড়াবে জানাই ছিল। প্রশ্নটা ছিল কখন ? দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডি ব্রুইনকে নিয়ে এলেন কোচ। কিছুক্ষণ পরে নামালেন ইডেন হ্যাজার্ড, উইটসেলকে। মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিতে শুরু করল বেলজিয়াম। ৫৫ মিনিটে প্রথম গোল। ডানদিক থেকে লুকাকু হয়ে ব্রুইন বল ধরে মাইনাস করলে থর্গেন দুর্দান্ত ফিনিশ করেন। দুর্দান্ত দলগত গোল। ৭০ মিনিটে আবার সেই লুকাকুর বাড়ানো পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে চলতি বলে বাপায়ের শট নেন ডি ব্রইন। ডেনমার্ক গোলরক্ষক ক্যাসপার বল আটকাতে পারেননি।
ছোট্ট একটা স্পেল ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিল বেলজিয়ামের পক্ষে। কিন্তু লড়াই ছাড়েনি ডেনমার্ক। ব্রেথওয়েট দুর্দান্ত হেড করেছিলেন। বল অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। জেনসেনের গোলার মত শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দিনের শেষে জিতল বেলজিয়াম। শেষ ষোলোয় জায়গা করে ফেলল তাঁরা। ফিনল্যান্ডের পর বেলজিয়ামের কাছে হেরে ডেনমার্কের পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও কঠিন হল।
হয়তো হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মন খারাপ হবে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের। সতীর্থ ফুটবলাররাও মনেপ্রানে চেয়েছিলেন জয় পেতে। কিন্তু সব প্রার্থনা সফল হয় না। বেলজিয়াম বুঝিয়ে দিল কেন তাঁদের ওপর বাজি ধরছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে। এবার ইউরো জিতে সেই প্রায়শ্চিত্ত তাঁরা করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020