অ্যারোজের বিরুদ্ধে হেরে ছয়ে নামল ইস্টবেঙ্গল, ক্ষোভে ফুঁসছেন সদস্য-সমর্থকরা

Last Updated:

হার দিয়ে ইস্টবেঙ্গলে ইনিংস শুরু মারিওর। কোলাডো-মার্কোসদের হতশ্রী পারফর্ম্যান্স। লালকার্ড মার্কোসের, ছয়ে নামল ইস্টবেঙ্গল।

#কল্যাণী: ‘জার্সি মানেই আমার মা...।’ শতবর্ষে অরিজিৎ সিংকে দিয়ে ক্লাবের থিম সঙ বানিয়ে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকর্তারা। সদস্য-সমর্থকরা আলবৎ মানেন। কিছু অংশে ক্লাবকর্তারাও মানেন। কিন্তু ফুটবলাররা এর মানে জানেন কী? উইকএন্ডে কল্যাণী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল-অ্যারোজ ম্যাচ দেখলে এটাই মনে হতে পারে। হতশ্রী খেলা, জঘন্য পারফরম্যান্স৷  কোলাডো, জুয়ান মেরা থেকে ক্রেসপি, ক্রোমা। কাকে ছেড়ে কার কথা বলবেন!
খারাপ খেলায় একে অন্যের সঙ্গে যেন পাল্লা দিতে নেমেছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বাচ্চা বাচ্চা ফুটবলাররাও হারিয়ে দিয়ে গেল শতবর্ষে পা রাখা ইস্টবেঙ্গলকে। স্কোরলাইন ইস্টবেঙ্গল ০, অ্যারোজ ১। লাল-হলুদ ডিফেন্সকে টলিয়ে গোল বিক্রমপ্রতাপ সিংয়ের। মেজাজে হারিয়ে বাজে লাল কার্ড  দেখলেন ‘গোলকানা’ মার্কোস।না, আর আশা নেই। আজকের পর লাল-হলুদের লিগ জয়ের স্বপ্ন, ভারত সেরা হওয়ার সাধের গঙ্গাপ্রাপ্তি। শতবর্ষে ক্লাবে ট্রফি ঢোকাতে হলে পাড়ার মধুসূদন কাপ, বঙ্কিম কাপ খেলা ছাড়া আর উপায় নেই।অথচ এই আই লিগের প্রস্তুতি নিতেই না কী মরশুমের প্রথম থেকে সময় গুনছিল ইস্টবেঙ্গলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক। স্বপ্নবিলাসী ভাবনায় প্রশয় দিতে গিয়েই কলকাতা লিগ জলে গিয়েছে। হাতের সামনে দিয়ে গলে গিয়েছে ডুরান্ড। বাংলাদেশে খেলতেই যায়নি লাল-হলুদ। আর এখন? আই লিগেও হামাগুড়ি দিচ্ছে ক্লাব। কেন?
advertisement
advertisement
প্রশ্ন করবেন না সমর্থকরা?মশাল নিভু নিভু দেখেও হেলদোল দেখাননি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। আলেজান্দ্রোর বদলি হিসেবে দরকার ছিল একটা ডাকাবুকো কোচের। কোন ফুটবল বুদ্ধিতে আলে-র একসময়ের সহকারী মারিও রিভেরাকে কোচ করে আনল ম্যানেজমেন্ট! ওরাই জানে। মরশুম শুরুর আগে মোহনবাগানের কোচ হতে চেয়ে দরবার করেও সৃঞ্জয় বোস, দেবাশিস দত্তদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন মারিও। সেই মারিওই ফিরলেন আলেজান্দ্রোর ছেড়ে যাওয়া হটসিটে। কলকাতায় নামার দিনেই ডাগ-আউটে বসে দলের হার দেখলেন মারিও। হয়তো বা শিউরেও উঠলেন। কী শোচনীয় অবস্থা দলটার!হাতের সামনে ট্রান্সফার উইনডো শেষ হয়ে গেল। ঝড়তি পড়তি মার্কোস, ক্রেসপিকে বদলানোর উদ্যোগটুকু দেখা গেল না। কাকে ধরে আনলেন? স্বঘোষিত ভারতীয় মেসি-কে। ভাল কথা! তা, মেসিকে সই করিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখা কেন?  বিদেশিহীন অ্যারোজের বিরুদ্ধে চোট সমস্যায় ছিলেন না কাশিম আইদারা। চার বিদেশি নিয়ে খেলল ইস্টবেঙ্গল। তাহলে কী ম্যাচফিট নন ক্রোমা? যদি আনফিট হন, তাহলে এমন ফুটবলারকে মাঝ-মরশুমে সই করানোর মানে কী? বদলি নেমে কী সব গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন ক্রোমা! কোলাডো, মার্কোস, ক্রেসপিরাও তথৈবচ।মরশুম শেষে না কী বিদায় নেবে কোয়েস! ঢের হয়েছে! এখনই ধন্যবাদ জানানো হোক আইজ্যাক সাহেবকে। অনেক করেছেন। শতবর্ষে ট্রফিশূণ্য ইস্টবেঙ্গল। ১০০ পেরোন ক্লাবের সমর্থকরা ভাবতে পারছেন?
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
অ্যারোজের বিরুদ্ধে হেরে ছয়ে নামল ইস্টবেঙ্গল, ক্ষোভে ফুঁসছেন সদস্য-সমর্থকরা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement