#কলকাতা: হার। আবারও একটা হার। পয়েন্ট টেবিলে আরও তলিয়ে যাওয়া। শতবর্ষে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লাবটার হাল দেখলে কষ্টের থেকেও বেশি লজ্জা হয়। আনকোরা অ্যারোজের বিরুদ্ধে হার। ধুঁকতে থাকা আইজল এফসিও ঘরের মাঠে এসে মেরে গেল। ৭৬ মিনিটে সুপার-সাব হিসেবে নেমে ম্যাচের একমাত্র গোল আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ভেরনের। পরিস্থিতি যা, তাতে না শতবর্ষে অবনমন বাঁচাতে লড়তে হয় লাল-হলুদকে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হতাশা বাড়িয়ে বিকেলের বার্তা এলো ক্রীড়া দবতর থেকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি যুবভারতী পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ মিনার্ভা ম্যাচও খেলতে হবে কল্যাণীতে। তবে এই দলের কাছে যুবভারতীও যা, কল্যাণীও তাই! নাচতে না জানলে আর ডান্সফ্লোরে নেমে আর কি হবে! কানার আবার দিন-রাত্রি! এই ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে যত কম বলা যায় তত ভাল। ব্রেন্ডন, আভাষ থাপা ছাড়া শুক্রবার কেউ পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়।
আরও পড়ুন - মাকে ব্যাপক মারধর করে ঘরে বন্দি করে দিয়েছিল ছেলে, তিন স্কুল ছাত্রীর তৎপরতায় উদ্ধার
হাইমে কোলাডো-কে তো পত্রপাঠ বিদায় করা উচিত। খেলার থেকে ধাক্কাধাক্কি, মারামারিতে নজর বেশি স্প্যানিয়ার্ডের। গত মরশুমের সেই ছটফটে, চনমনে, স্কিলফুল ম্যাচ উইনার এখন শুধুই অতীতের ছায়া। ক্রেসপি মার্তিকে তো এদিন ১৮ জনের দলেও রাখা হয়নি। ক্লাবের অন্দরমহলের খবর, আলেজান্দ্রোর পছন্দ করে আনা স্প্যানিশ ব্রিগেডের মধ্যে সবার আগে কোপ পড়তে পারে ক্রেসপির ওপর। নেতাহীন লাল হলুদে হাল ধরতে পারতেন যিনি, সেই জনি অ্যাকোস্টা ইন্টারনেটে চোখ রেখে দলের হার দেখে হতাশ।
কোস্টারিকার রাজধানী সানহোসে থেকে নিউজ এইট্টিন বাংলাকে জানালেন, "অবিশ্বাস্য! দলটার এই হাল হলো কি করে!" কোস্টারিকান বিশ্বকাপারের গলায় চুইয়ে পড়ছে একরাশ হতাশা আর প্রিয় দলের জন্য উদ্বেগ। ইস্টবেঙ্গল নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। শতবর্ষে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লাবটার দৈন্যদশা দেখে সত্যিই খারাপ লাগে! লজ্জা হয়! সর্মথকরা চোখের জল ফেলছেন। পড়শি ক্লাব খেতাবের দিকে এগোচ্ছে। ফ্যাকাশে, বিবর্ণ লাল-হলুদে তখন গলা অবধি নৈরাশ্য আর হতাশা!
Paradip Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bengal, I League 2019-20, আইলিগ ২০১৯-২০, ইস্টবেঙ্গল