হোম /খবর /খেলা /
‘রুকু’ যা না নেহি তু কহি হার কে...

‘রুকু’ যা না নেহি তু কহি হার কে...

বাংলার ‘ক্রাইসিস ম্যান’ অনুষ্টুপ। পরপর ২টো নক আউটে সেরা। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালে অরুণলালের সেরা বাজি।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: দল যখনই বিপদে। পরিত্রাতা হয়েছেন তিনিই। সতীর্থরা নাকি মজা করে বলছেন, অনুষ্টুপ ‘ব্যাটিং বাঁচাও’ মজুমদার। ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রায় শেষ দিকে পৌঁছেও নিজেকে নতুন খুঁজে পাচ্ছেন চন্দননগরের রুকু।

গান ভালবাসেন। তাই কঠিন পরিস্থিতিতেও এতটুকু ভেঙে পড়েন না। ব্যাট করতে করতে গুনগুন করতে থাকেন গান। অনেকটা সেহওয়াগের মত। আর বাইশ গজেও যেন তাঁরই ফোটোকপি। ভয়ডরহীন ব্যাটিং রুকুর । অনুষ্টুপ জানান, "আমি বেশিরভাগ সময়ে গান শুনি। সব রকম গান ভালো লাগে। খুব সিরিয়াস থাকতে পারিনা মাঠে। তাই ব্যাট করতে করেতে গান করি।"কোন গান বেশি করেন ২২ গজে ? রুকুর উত্তর, "কোনও ঠিক নেই। যেটা মনে হয়। তবে মাঠে যাওয়ার সময় যে গান শুনি সেটাই বেশি গুন গুন করি।" তবে অনুষ্টুপ ব্যাট করতে করতে যে গানই করুক না কেন, বাংলা ক্রিকেট দলের সমর্থকরা হয়তো অনুষ্টুপ এর জন্য একটা গানই করছেন, "রুকু যা না নেহি তু কহি হার কে। কাটোপে চলকে। মিলেঙ্গে সায়ে বাহার কে। ও রাহি ও রাহি..."

কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। সেমিফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। এই মরসুমে তিনিই বাংলার "ক্রাইসিস ম্যান"। অবসর নেওয়ার বয়েসে যেন পুনর্জন্ম হয়েছে চন্দননগরের অনুষ্টুপ মজুমদারের। পরপর দুটো নক আউটের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ওড়িশার বিরুদ্ধে ১৫৭ করার পর কেএল রাহুলদের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪৯। ফাইনালেও অনুষ্টুপকে দলের অন্যতম ভরসা হিসেবে দেখছেন কোচ অরুণলাল।  মনোজ তিওয়ারির আগে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু। স্টিভ স্মিথদের সঙ্গে আইপিএল খেলেছেন। ভারতীয় এ দল পর্যন্ত খেলেছেন। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার অন্দরে ঢোকা হয়নি। তাতে অবশ্য কোনও দুঃখ নেই রুকুর। একসময় চাকরির জন্য বাংলা ছেলে চলে যেতে হয় রেলওয়েজ রঞ্জি টিমে। সেখানেও নিয়মিত ছিলেন না। সৌরভের ডাকে রেলের চাকরি ছেড়ে ফের বাংলায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন অনুষ্টুপ। রুকু জানান, চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন ছিল। পরিবার পাশে থাকায় সিদ্ধান্ত  নিতে পেরেছিলাম। অনুষ্টুপ স্ত্রী সোনালী জানান, "যে যেটা পারে তার তাই করা উচিৎ।

অনুষ্টুপ সবচেয়ে ভাল পারে ক্রিকেট খেলতে। তাই ওকে বলেছিলাম চাকরি ছেড়ে দাও। আমি সামলে নেব।" এবারের মরশুমে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে বাংলা দলে নিয়মিত ছিলেন না। তবে অনুষ্টুপের আসল খেলা বেরোল এই ইডেনেই। দিল্লির বিরুদ্ধে। সেখানে এক রানের জন্য সেঞ্চুুরি হাতছাড়া হয়। সেটা অবশ্য সুদে আসলে পুষিয়ে যায় ওড়িশা ও কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। দুটো সেঞ্চুরি করে লালজির বাংলার তিনিই নতুন বাদশা। অনুষ্টুপ বলেন, "ক্রিকেট উপভোগ করছি। নতুন করে যেন নিজেকে ২২ গজের মেলে ধরতে পেরেছি। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যা কাজ আমি তাই করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় সব ট্রফি জিতেছে শুধু রঞ্জি জেতা হয়নি এবার সেই অধরা স্বপ্ন করতে চাই।"

শুক্রবার সকালে রাজকোট উড়ে যাওয়ার আগে দু’দিন ছুটি কাটালেন ক্রিকেটাররা। গড়িয়ার ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অনুষ্টুপ। তবে ছুটি থেকেও যেন ছুটি পাননি অনুষ্টুপে। ছেলে পোপের সঙ্গে খেলতে হয়েছে ক্রিকেট। তবে বিপক্ষকের বোলারদের শাসন করা অনুষ্টুপ এখানে বেশিটাই বোলারের ভূমিকায়। কারণ ছেলে ব্যাট ছাড়তে নারাজ।

Eeron Roy Barman

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Anustup Majumdar