ক্যাচ ধরার পরেই লুটিয়ে মাটিতে, মাঠেই মৃত্যু ১৮ বছরের ক্রিকেটারের! নিশ্চুপ চন্দননগর

Last Updated:

ছোট ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ গোটা পরিবার। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ক্লাব সংগঠক মোহিত নন্দীর কথায়, ''দীপঙ্কর খুবই মিশুকে আর জনপ্রিয় ছেলে ছিল। লেগ স্পিন বোলার হিসেবে নিজেকে তৈরি করছিল দীপঙ্কর।''

#চন্দননগর: ক্রিকেট মাঠে অনুশীলন করার সময় মৃত্যু হল এক তরুণ ক্রিকেটারের। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর থানার সন্তান সংঘের মাঠে। মৃতের নাম দীপঙ্কর দাস (১৮)। বাড়ি চন্দননগরের কাটাপুকুরে। তিনি সন্তান সংঘ ক্রিকেট দলের লেগ স্পিন বোলার ছিলেন। খেলাধুলার পাশাপাশি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তেন দীপঙ্কর।উদীয়মান ক্রিকেটার তথা কৃতী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত গোটা এলাকা।
স্থানীয় ও ক্লাব সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই ক্রিকেট ম্যাচ ছিল। সেই কারণেই এ দিন দীপঙ্কর ও কয়েকজন সতীর্থ ক্রিকেটার মাঠে অনুশীলন করছিলেন। ফিল্ডিং করার সময় একটি ক্যাচ ধরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দীপঙ্কর। সতীর্থ ক্রিকেটারেরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে গিয়ে দেখেন তিনি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। ক্লাবের কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা খেলার মাঠ থেকে দ্রুত দীপঙ্করকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
advertisement
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর মোহিত নন্দী। মিশুকে ক্রিকেটারের অকাল মৃত্যুর কথা শুনে পাড়া পড়শিরাও হাসপাতালে ছুটে যান। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অভাবের সংসারে বাবা- মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন দীপঙ্কর। কিন্তু সেই ছেলে এভাবে চলে যাবে সেটা প্রতিবেশীরা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
advertisement
মৃতের বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। কয়েক বছর আগে দীপঙ্করের দাদা দুর্ঘটনায় মারা যায়। বড় ছেলের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় দীপঙ্করকে নিয়েই আশায় বুক বাঁধছিল বাবা মা। কিন্তু এ দিন আচমকা দীপঙ্কের মৃত্যু গোটা পাড়াকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে।
advertisement
ছোট ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ গোটা পরিবার। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ক্লাব সংগঠক মোহিত নন্দীর কথায়, ''দীপঙ্কর খুবই মিশুকে আর জনপ্রিয় ছেলে ছিল। লেগ স্পিন বোলার হিসেবে নিজেকে তৈরি করছিল দীপঙ্কর। কিন্তু অনুশীলন করার সময় এভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরবে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।''
মৃতের বাবা শরদিন্দু দাস বলেন, ''ছেলের কোনো অসুস্থতা ছিল না। দিব্যি খেলাধুলা করত। এ দিনও স্বাভাবিক ছিল। নিয়ম করেই খেলার মাঠে অনুশীলনে গিয়েছিল। আমরা ভাবতে পারছি না যে আমাদের ছোট ছেলে আর নেই। ও যে খেলার মাঠ থেকে আর বাড়ি ফিরবে না, আর বাবা মা বলে আমাদের ডাকবে না, এটা মানতে পারছি না। ছেলে হারানোর যন্ত্রনা নিয়ে কী ভাবে বেঁঁচে থাকব জানি না।''
advertisement
তবে মৃতের দিদি অনামিকা দাসের দাবি, মাঠে ক্রিকেট খেলতে খেলতে মাথায় বল লেগেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের।
রানা কর্মকার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ক্যাচ ধরার পরেই লুটিয়ে মাটিতে, মাঠেই মৃত্যু ১৮ বছরের ক্রিকেটারের! নিশ্চুপ চন্দননগর
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement