West Midnapore News : পোস্ট অফিসে মিলছে গঙ্গাজল, এক বছরে ২হাজার বোতল গঙ্গাজল বিক্রি করে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে মেদিনীপুর প্রধান ডাকঘর

Last Updated:

ডাকঘর বা পোস্ট অফিস থেকে মানুষ সরাসরি গঙ্গাজল কিনতে পারেন। ডাকঘর থেকে গঙ্গাজল ক্রয় করে আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধবদের পাঠাতে পারেন৷ করোনার সময় থেকে এই প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আর এতেই হয়েছে লাভ৷

#মেদিনীপুর: করোনা মহামারীর সময় বহু মানুষ হারিয়েছেন তাঁদের কাজ৷ করোনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ, বন্ধ করেছে অফিস-আদালত এবং বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র৷ অন্যদিকে এই কোভিড কালে বিক্রি বেড়েছে গঙ্গাজলের। এমনই রিপোর্ট এসেছে মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘর থেকে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, কোভিড বিপর্যয়ের ফলে প্রায় বছর দুয়েক স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতবর্ষেরও অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে পতন নজরে আসে। স্কুল কলেজ, অফিস, আদালত, ব্যবসা, বাণিজ্যেও রাশ টানতে হয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে। বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে একাধিক নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দিষ্ট সময় ছাড়া বেরোনোর উপর প্রাবন্ধিক বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে জরুরি ব্যবস্থা গুলোকে যেমন ছাড় দেওয়া হয়, তেমনই একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে আনে রাজ্য সরকার। যদিও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধে বহু মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। তবে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও একটি সুখবর শোনা গিয়েছে মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘর থেকে। মেদিনীপুরের প্রধান ডাক ঘরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই কোভিড বিপর্যয়েও বছরে সর্বাধিক গঙ্গাজল বিক্রি করেছে তারা।
কেন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া এই গঙ্গাজল বিক্রির নির্দেশিকায় তারা গঙ্গোত্রী এবং ঋষিকেশের জল বিক্রি করা শুরু করে। গঙ্গাজলের ২৫০ মিলি বোতলের দাম রাখা হয় ৩০ টাকা। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মোট ১৮৪৫ বোতল গঙ্গাজল। অর্থাৎ প্রায় ৪৬১ লিটার ২৫০ মিলি গঙ্গাজল বিক্রি মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘর বিক্রি করেছে তার গ্রাহকদের। মোট ১৮৪৫ বোতল গঙ্গাজল বিক্রি করে ডাকঘরের ঝুলিতে এসেছে ৫৫ হাজার ৩৫০ টাকা। যাতে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে জঙ্গলমহলের এই প্রধান ডাকঘর। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত প্রধান ডাকঘরের আধিকারিক ও কর্মীরা।
advertisement
advertisement
ডাকঘর থেকে পাওয়া গঙ্গাজল স্বচ্ছ এবং পবিত্র৷ অর্থাৎ বিক্রি হওয়া গঙ্গাজলে কোনও ভেজাল নেই৷ তাই মানুষের মধ্যে এর চাহিদাও সবচেয়ে বেশি। মনে করছেন ডাকঘর কর্মীর৷ মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘরের সিনিয়র পোস্টমাস্টার রতিকান্ত সোয়াইন বলেন, এটা ডাকঘরের কাছে একটা বড় পাওনা। যেখানে এই ডাকঘর থেকে মানুষের গঙ্গাজল কেনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। জঙ্গলমহলের মানুষ এখান থেকে গঙ্গাজল সঞ্চয় করে এবং এই চাহিদার জন্যই গত এক বছরে তাদের মোট বিক্রির পরিমাণ সর্বোচ্চ। যা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।এতে আমরা খুশি। এই ডাক ঘর থেকে মানুষ সরাসরি গঙ্গাজল কিনতে পারেন। পাশাপাশি এখান থেকে গঙ্গাজল ক্রয় করে মানুষ অন্যত্র পাঠাতে পারেন তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের কাছে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের অধীন, যা হয়তো অনেক মানুষই জানতেন না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Midnapore News : পোস্ট অফিসে মিলছে গঙ্গাজল, এক বছরে ২হাজার বোতল গঙ্গাজল বিক্রি করে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে মেদিনীপুর প্রধান ডাকঘর
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement