West Bengal News: এই ভবনে হত্যা করা হয় জেলাশাসককে, মেদিনীপুরের লাল ভবনের গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

Last Updated:

West Bengal News: ব্রিটিশ সময়কালে জেলা শাসন করার জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর শহরে ভবন স্থাপন করে ইংরেজরা। পরাধীন ভারতে তখন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন।

+
মেদিনীপুরের

মেদিনীপুরের লাল ভবন

পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুরে বয়ে চলেছে ইতিহাস। মেদিনীপুর শহরের বুকে থাকা নানা ঐতিহ্য এক একটি দিনের সাক্ষী। ইংরেজরা নিজেদের প্রশাসনিক ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল এই শহরকেই। গড়ে তুলেছিলেন প্রশাসনিক ভবন। শহরের বুকে কান পাতলে শোনা যায় বিপ্লবের কাহিনী। দিন বদলেছে। রং বদলেছে বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনের। তবুও সেদিনের সেই রং আর ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে জেলা সদরের এই বাড়ি।জেলার সদর শহরে অবস্থিত ব্রিটিশ সময়ের লাল ভবন আজও সেদিনের স্মৃতি এবং বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছে। যা শুধু ইতিহাস গবেষক কিংবা প্রশাসনিক দায়িত্ব বয়ে চলেছে তা নয়, গোটা জেলার মানুষের কাছে বিপ্লবের দিনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ সময়কালে জেলা শাসন করবার জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর শহরে ভবন স্থাপন করে ইংরেজরা। পরাধীন ভারতে তখন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন। এই ভবন থেকে প্রশাসনিক নানা কাজ সম্পন্ন করতেন ইংরেজ শাসকেরা। তবে ইংরেজদের এই পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি পেয়েছে ভারতবর্ষ। যে ভবন ইংরেজদের ম্যাজিস্ট্রেট ভবন ছিল বর্তমানে সেই লাল ভবন পরিণত হয়েছে জেলা পরিষদ ভবনে। এই লাল বাড়ির আনাচে-কানাচে রয়েছে বিপ্লবের নানা ইতিহাস। রয়েছে অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক হঠাতে তরুণ তরতাজা যুবকের আত্মবলিদানের কাহিনী। মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত তৎকালীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন লাল ভবন। বর্তমানে এই ভবন থেকে জেলা পরিষদের অফিস চলে।
advertisement
স্বাধীনতার আগে ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এই জেলা পরিষদ ভবনে বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন বাংলা দুই বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য এবং প্রভাংশু পাল।জেলাশাসককে হত্যার দায়ে ১৯৩৩ সালে ফাঁসি হয় প্রদ্যোতের। তবে বিপ্লবীদের ভয়ে আর কোনও ইংরেজ শাসক জেলাশাসক হয়ে আসতে চাননি মেদিনীপুরে। ইংরেজ সরকারের স্থাপন করা সেই ভবন এখন জেলা পরিষদের বিশাল ভবন। সেদিনের সেই ব্রিটিশ লাল বিল্ডিং এখন প্রশাসনিক কার্যালয়। একইভাবে জেলা প্রশাসনে তরফে সংরক্ষণ করা হয়েছে ব্রিটিশ সময়ে তৈরি এই প্রশাসনিক ভবনকে। ভবনের সামনে রয়েছে বিপ্লবীদের মূর্তি।
advertisement
advertisement
বিপ্লবীদের সেই অমর ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে জেলা পরিষদ ভবনে। তবে ২০২৩ এ জেলা পরিষদ সভাধিপতিপদে শাসকদলের পক্ষে সভাধিপতি হয়েছেন প্রতিভা মাইতি। ফের জেলা পরিষদ ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি তুলেছেন সকলে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বয়ে চলা পুরানো সেই লাল ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি এবং পুরানো দিনের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম করার দাবি তুলেছেন প্রত্যেকে।যাতে পরবর্তী প্রজন্ম জেলার বিপ্লবীদের কৃতিত্ব সহজে জানতে পারে এবং জেলার গৌরবকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে দেশ-বিদেশে, তার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
advertisement
রঞ্জন চন্দ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bengal News: এই ভবনে হত্যা করা হয় জেলাশাসককে, মেদিনীপুরের লাল ভবনের গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement