#মুর্শিদাবাদ: নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে রয়েছে নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া। সেই ঐতিহ্যেরই একটি অংশ নিমতিতা রাজবাড়ি।
ঐতিহ্যবাহী নিমতিতা রাজবাড়ি সরকারীভাবে সংরক্ষণ ও পর্যটনকেন্দ্র করে তোলার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার নিমতিতা রাজবাড়ি পরিদর্শন করলেন পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের এক প্রতিনিধি দল। উপস্থিত ছিলেন হেরিটেজ কমিশনের ওএসডি ডঃ বাসুদেব মালিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জুলফিকার আলী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি।
আরও পড়ুন- কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, কয়লার গুদামে বিধ্বংসী আগুন
আগে এই রাজপ্রাসাদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রাজকীয় বৈভব। জলসাঘরের সাঁঝবাতিতে এক সময় ঝলমল করত এই রাজবাড়ি। বর্তমানে ধ্বংস স্তুপ সেই জলসাঘর। পুরনো ঐতিহ্য বুকে নিয়ে নিথর দাঁড়িয়ে রয়েছে ধংসপ্রায় নিমতিতা রাজবাড়ি।
খেতাবি নাম নিমতিতা ভবন, জলসাঘর নামে যার জনপ্রিয়তা রয়েছে আজও। প্রায় ২০০ বছর আগে গৌড়সুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী- দুই ভাইয়ের হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির নিমতিতা রাজবাড়ি। জানা যায় দ্বারকানাথ চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে এসে নিমতিতা এলাকায় জমিদারি প্রথা শুরু করেন। কিন্তু কালের ক্রমে সবই আজ অতীত। আজ বিবর্ণ দেওয়াল ও ইটগুলোই সার।
বর্তমানে জরাজীর্ণ নিমতিতা রাজবাড়ি কোনওক্রমে দাঁড়িয়ে রয়েছে জানা অজানা ইতিহাসের নানা সাক্ষী নিয়ে। এক সময়ে নাটকের আঁতুড়ঘর এই রাজবাড়ির ঠাকুর দালান। কিন্তু ভাঙনে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সেই থিয়েটার হল।
বর্তমানে গঙ্গা ভাঙনে ধ্বংসের প্রহর গুনছে জরাজীর্ন নিমতিতা রাজবাড়ি। ঐতিহ্যবাহী নিমতিতা রাজবাড়ি সরকারীভাবে সংরক্ষণ পর্যটনকেন্দ্র করে তোলার উদ্দেশ্যে নিমতিতা রাজবাড়ি পরিদর্শন করলেন পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের এক প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন- দিঘায় ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বাসের ধাক্কায় মৃত্যু সাইকেল আরোহীর
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ নিমতিতা রাজবাড়ি পরিদর্শন করেন হেরিটেজ কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। উপস্থিত ছিলেন হেরিটেজ কমিশনের ওএসডি ডঃ বাসুদেব মালিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জুলফিকার আলী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি।
এদিন রাজবাড়ি চত্বর ঘুরে দেখার পাশাপাশি আগামীদিনে রাজবাড়িকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হেরিটেজ কমিশনের সদস্যরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।