West Bardhaman News: আসানসোলে হচ্ছেটা কী! বাঁশি বাজলেই বাচ্চারা যা করছে...! খুশি মা-বাবা থেকে শিক্ষক সকলে

Last Updated:

West Bardhaman News: হুইসেল বাজলেই যেন সজাগ হয়ে যায় কান। এবার এই বাঁশি বাজলেই বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আসানসোলের গ্রামে অভিনব পদক্ষেপ। কেন এমন উদ্যোগ জানলে অবাক হতে পারেন।

+
স্কুলছুটের

স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে অভিনব উদ্যোগ

আসানসোল, রিন্টু পাঁজাঃ হুইসেল বাজলেই সজাগ হয়ে যায় কান। অজান্তেই যেন মনের মধ্যে এক সতর্কবার্তা পৌঁছে যায়। ফুটবল খেলার মাঠই হোক বা প্রশাসনিক কোনও কাজের ক্ষেত্র, এই বাঁশি সকলের মনোযোগ কেড়ে নেয়। তাতে সকলে সতর্ক হয়ে যান। এবার এই হুইসেল বাজলেই বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আসানসোলে দেখা গিয়েছে এমনই অভিনব ছবি।
এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা গঙ্গা ভূঁইয়া বলেন, “আমরা ক্যাসারে কাজ করি। সেই জন্য সকালেই বেরোতে হয়। তবে হুইসেল বাজলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব ভাল বিষয়”।
আরও পড়ুনঃ উত্তরের বিপর্যয়ের রেশ কাটেনি, এর মাঝেই সুন্দরবনের কাছে একি অবস্থা! আতঙ্কে দিশেহারা মানুষ, ছবিতে দেখুন কী হল
গ্রামগঞ্জে নৈশ প্রহরীরা বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করেন। সকলকে জানান দেন, তাঁরা রাস্তায় আছেন, চিন্তার কিছু নেই। সেই সঙ্গেই কারও অসৎ কাজ করার উদ্দেশ্য থাকলে তাঁরাও সাবধান হয়ে যান। তবে আসানসোলে হুইসেল বাজলেই দেখা যাচ্ছে অন্যরকম ছবি। হুইসেল বাজলেই বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি এলাকায় বেশ ভাল সাড়া পেয়েছে।
advertisement
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের পলাশডিহা গ্রাম সহ আরও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন। এই গ্রামগুলির মানুষ মূলত দিনমজুর। কেউ ক্যাসারে, কেউ রাজমিস্ত্রির জোগানদারের কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের সংসার খুব একটা সচ্ছল নয়।
এদিকে এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা কেউ চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণি, কেউ আবার সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। স্বাভাবিকভাবেই মা-বাবা সকালে কাজে বেরিয়ে গেলে বাড়ির বাচ্চারা বিভিন্ন জায়গায় খেলাধুলায় মত্ত হয়ে যেত। সময় সম্পর্কে অসচেতন হয়ে পড়ায় স্কুলছুটের সংখ্যাও বাড়ছিল। তাই স্কুলছুট কমাতে ফুড এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আসে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার দুই-একটি বাড়ির বয়স্ক মানুষদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্কুল যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে তাঁদের বাড়ির স্কুল পড়ুয়া ও সচেতন ছেলেরা ওই এলাকায় গিয়ে একটি করে হুইসেল বাজিয়ে দিয়ে আসে। বাচ্চারা সেই আওয়াজ শুনে যেখানেই খেলাধুলোয় মত্ত থাকুক না কেন, সেখান থেকে এসে স্কুল যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এর ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার শিক্ষক সহ অনেকেই।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bardhaman News: আসানসোলে হচ্ছেটা কী! বাঁশি বাজলেই বাচ্চারা যা করছে...! খুশি মা-বাবা থেকে শিক্ষক সকলে
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement