#ভাতার: এক অন্যরকম বিয়ে! দুই পাত্র, দুই পাত্রী। পোশাক এক, এমনকি তাঁদের দেখতেও একইরকম। যমজ পাত্রী বিয়ে করলেন যমজ পাত্রকে। বিয়ের পিঁড়িতে চারজন বসলেন একসঙ্গে। কে যে কার কনে আর কে যে কার বর, তা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনেরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে যমজ পাত্রের সঙ্গে যমজ পাত্রীর বিয়ে রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
পাত্র লব পাকড়ে ও কুশ পাকড়ের বাড়ি কুড়মুন গ্রামে। পাত্রী অর্পিতা সাঁতরা ও পারমিতা সাঁতরা ভাতারের বাসিন্দা। যমজ ভাইয়ের গলার স্বর যেমন একইরকম, তেমনই তাঁদের পছন্দ এক। চারজন যখন একে অপরের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন অনেকেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কে কার স্ত্রী। পাত্রপক্ষের আত্মীয় পরিজনরা বললেন, ভাতারের যমজ কন্যার কথা জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যমজ ভাইয়ের কথা জানতে পেরে কনেপক্ষ রাজি হয়ে যায়। দুই বাড়ির আলোচনার পর ধুমধামের করে বিয়ের আসর বসে।
আরও পড়ুনঃ লাল শাড়িতে পহেলিকে লুকিয়ে দেখছেন শতরূপ! বিয়ের মিষ্টি মুহূর্ত ফাঁস, দেখুন অ্যালবাম
কুশ পাকড়ে বলেন, দাদা আমার থেকে চার ঘণ্টার বড়। আমাদের চেহারা একইরকম হলেও বাবা-মায়ের চিনতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু গ্রামের লোকজনের অসুবিধা হয়। আত্মীয়রাও ভুল করেন। আমাদের দু'জন একই রকম দেখতে ঠিকই, তবে আমাদের চিনতে স্ত্রীদের অসুবিধা হবে না।
লব বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কুশ আগে রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করলেও বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অর্পিতা বলেন, আমরা দু-বোনের প্রায় একসঙ্গেই জন্ম। একসঙ্গেই থেকেছি। একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমরা দু'জন একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারি না। তাই দু'বোনের আলাদা আলাদা জায়গায় বিয়ে হলে মন খারাপ হতো। একই বাড়িতে বিয়ে হওয়ায় আমরা খুশি। তবে বিয়ের নিমন্ত্রণে এসে পাত্র-পাত্রীদের চিনে নিতে হিমশিম খেতে হয়েছে আত্মীয় পরিচিতদের। যদিও পাত্ররা নিজেদের স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে, সেই ভুল ভেঙে দিয়েছেন বারে বারে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman, Viral photo