হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
প্রথম পুরস্কার শাড়ি, দ্বিতীয় শায়া, তৃতীয় ব্লাউজ! আজব প্রতিযোগিতা বর্ধমানে

প্রথম পুরস্কার শাড়ি, দ্বিতীয় শায়া, তৃতীয় ব্লাউজ! আজব প্রতিযোগিতা বর্ধমানে

(Representational photo: Wikimedia commons)

(Representational photo: Wikimedia commons)

পূর্ব বর্ধমানের কালনার শিকারপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা।

  • Share this:

#কালনা: ফাঁকা মাঠে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা। অনেক দূরে লক্ষ্যবস্তু রয়েছে। এক নিশানায় করতে হবে সেই লক্ষ্যভেদ। যে সবচেয়ে  বেশিবার টার্গেটে তির নিক্ষেপ করতে পারবেন, তিনিই হবেন জয়ী। এই প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার শাড়ি। দ্বিতীয় পুরস্কার শায়া। তৃতীয় পুরস্কার ব্লাউজ। পূর্ব বর্ধমানের কালনার শিকারপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রাখা হয় একটি কলা গাছ। জমির একপাশ থেকে সেই কলা গাছে তির ছুঁড়ে লক্ষ্যভেদ করতে হয়। সঠিক নিশানা করতে পারলেই মিলবে পুরস্কার।

কালনার শিকারপুরে পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘের শুরুতে আদিবাসীদের ঝাপান উৎসব হয়। সেই উপলক্ষ্যে এলাকায় মেলা বসে। এলাকার বাসিন্দারা তো বটেই, দূর দূরান্ত থেকে আদিবাসী পুরুষ মহিলারা সেই উৎসবে যোগ দিতে আসেন।

আরও পড়ুন, হাড়হিম কাণ্ড! ৮ বছরের কিশোরকে টেনে নিয়ে গেল কুমির, পরের ঘটনা মারাত্মক

উৎসব উপলক্ষে আদিবাসী বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা ভিড় করেন। বিভিন্ন রকমের পদের রান্না হয়। সেই ঝাপান উৎসবেরই অন্যতম আকর্ষণ তির ছোঁড়া প্রতিযোগিতা। এক, দু বছর ধরে নয়, যুগ যুগ ধরে আদিবাসী সমাজের এই রীতি চলে আসছে।

আরও পড়ুন, কীসের ভয়? কোনও দলই প্রচারে পা রাখেনি গুজরাতের এই গ্রামে, কারণ অবাক করার মতো

ইতিহাস সচেতন স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় আদিবাসীদের আদি বাসস্থান ছিল জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। জীবন সংগ্রামের প্রয়োজনে পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও শিকারে যেতে হতো। জঙ্গলের হিংস্র জন্তুদের সঙ্গে সকলকেই পাল্লা দিয়ে সমানে সমানে লড়াই করতে হত। তখন থেকেই মহিলারা অস্ত্র শিক্ষায় পারদর্শী ছিলেন। সেই থেকেই এই প্রতিযোগিতার শুরু। তার পর থেকে যুগ যুগ ধরে এই প্রতিযোগিতা চলে আসছে।

Published by:Suvam Mukherjee
First published: