Traditional Durga Puja 2025: ডাকের সাজের দুর্গার সজ্জায় পারিবারিক অলঙ্কার! বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির আলোয় দেখুন রাজবাড়ির ৩০০ বছরের পুজো!

Last Updated:

Traditional Durga Puja 2025: রাজবাড়িতে পুজোর ক’দিন কোনও রকম বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার হয় না। গোটা রাজবাড়ি আলোকিত হয় মোমবাতির নরম আলোয়। তাই এবার পুজোয় অন্ততপক্ষে একদিনের জন্য হলেও ঘুরে আসুন এই রাজবাড়ি থেকে।

+
মা

মা দুর্গা 

বীরভূম,সৌভিক রায়: শহরের কোলাহল জাঁকজমক থেকে একটু দূরে লাল মাটি আর সবুজে আচ্ছন্ন বীরভূমের সুরুল গ্রাম। আর সেখানেই সুরুল রাজবাড়ির পুজোয় প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজির হন বহু পর্যটক। আনুমানিক প্রায় ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে। এই বছর দুর্গাপুজোয় আপনিও কিন্তু ঘুরে আসতেই পারেন। ডুব দিতে পারেন তিন শতকের রাজকীয় আমেজে। কলকাতা থেকে মাত্র কিছু দূরেই অবস্থিত এই সুরুল রাজবাড়ী।
দুর্গাপুজোর কয়েকদিন আলোক সজ্জায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা সুরুল রাজবাড়ি। সুরুলে সরকার বাড়ির পুজো নামে খ্যাত এই শারদোৎসবে এক সময়ে অংশগ্রহণ করতেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে বহু গুণীজনেরা। সারা বছর যেমনই থাক, পুজোর দিনগুলোয় একেবারে অন্য সাজে সেজে ওঠে এই রাজবাড়ি। তবে এই সুরুল রাজবাড়ির ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে বর্ধমানের নীলপুর থেকে ভরতচন্দ্র সরকার এই গ্রামে প্রথম পা রাখেন।
advertisement
প্রথমে এখানকার বাসিন্দা বাসুদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এরপরে গড়ে তোলেন নিজের বসতবাড়ি। ভরতচন্দ্রের আমল থেকেই এই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। তাঁর পুত্র কৃষ্ণহরির সন্তান শ্রীনিবাস ইংরেজদের সঙ্গে নানা ব্যবসার কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রে সাহেব মহলে বেশ খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেন তিনি। জাহাজের পাল তৈরির কাপড় এবং নীল চাষের ব্যবসায় সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শ্রীনিবাস।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : এই ডাল পুষ্টির ভান্ডার! হাই ব্লাড প্রেশার কমবে হুড়মুড়িয়ে! ডায়াবেটিসের খেল খতম! ১ হাতা ডালেই সারে ১১ জটিল রোগ!
তবে সুরুল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর এত জনপ্রিয়তার পিছনে এক অন্যতম কারণ রয়েছে। কারণ রথের দিন থেকেই এখানে শুরু হয় প্রতিমা গড়া। এখানে দুর্গাকে দেখা যায় ডাকের সাজে। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো অস্ত্র তুলে দেওয়া হয় মা দুর্গার হাতে। পুজোর দিনগুলোয় সাজানো হয় পারিবারিক সোনার গয়নায়। শারদীয়ার শুরু থেকেই সুদূর বেলজিয়াম থেকে আনা নজরকাড়া ঝাড়বাতির আলোয় সেজে ওঠে রাজবাড়ির প্রতিটি অংশ। যে বিষয়টি সবার নজর কাড়ে, তা হল– রাজবাড়িতে পুজোর ক’দিন কোনও রকম বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার হয় না। গোটা রাজবাড়ি আলোকিত হয় মোমবাতির নরম আলোয়। তাই এবার পুজোয় অন্ততপক্ষে একদিনের জন্য হলেও ঘুরে আসুন এই রাজবাড়ি থেকে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja 2025: ডাকের সাজের দুর্গার সজ্জায় পারিবারিক অলঙ্কার! বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির আলোয় দেখুন রাজবাড়ির ৩০০ বছরের পুজো!
Next Article
advertisement
মিজোরামের মানুষের জন্য ঐতিহাসিক দিন, আইজল ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল!
মিজোরামের মানুষের জন্য ঐতিহাসিক দিন, আইজল ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল!
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ মিজোরামের আইজলে ৯,০০০ কোটি টাকারও অধিক মূল্যের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

VIEW MORE
advertisement
advertisement