#বর্ধমান: ঘরের পাশেই এখন করোনার সংক্রমণ। তবুও সচেতনতার অভাব বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই। যখন এই শহরে কোনও সংক্রমণ ছিল না তখন নিজেদের গৃহবন্দি রেখেছিলেন অনেকেই। বারে বারে সাবান জলে হাত ধুয়েছিলেন। অথচ এখন যখন চারপাশে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে, যখন এলাকায় এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চলছে তখন মুখে মাস্ক পড়তেও ভুলছেন অনেকেই।
বর্ধমান শহরে ৫টি জায়গায় লকডাউন চলছে। শহরের রাজগঞ্জ, রামকৃষ্ণ রোড, বেড় মোড়, বড়নীলপুর, লবনগোলা, শহর সংলগ্ন রায়নগর, রেনেসাঁ এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চলছে। অথচ শহরে তার তেমন কোনও প্রভাব নেই। ভোর থেকেই বর্ধমানের বি সি রোডে পাইকারি সবজি বাজারে, রানীগঞ্জ বাজারে পাইকারি মাছ বাজারে থিকথিকে ভিড়। একই ভিড় দেখা যাচ্ছে শহরের স্টেশন বাজার, বড়নীলপুর বাজার,কালনা গেট বাজার, পুলিশ লাইন বাজার এলাকাতেও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন ব্যাপারই থাকছে না? একে অপরের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন। এসব জায়গায় নজরদারিরও কোন ব্যাপার নেই।
একইভাবে মাস্ক ব্যবহার করতেও ভুলছেন অনেকেই। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন। সেই সব এলাকা পার হয়ে গেলে মাস্ক খুলে পকেটে ভরে রাখছেন এমন বাসিন্দার সংখ্যাও কম নয়। পাড়া এলাকাগুলিতে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। একই চিত্র মেমারি, গলসি, রায়না, খণ্ডঘোষের মতো মফস্বল শহরগুলিতেও। গ্রামের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মাস্ক বা ফেস কভার ব্যবহার করছেন না। এতেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এখন অনেক আক্রান্তেরই হদিশ মিলছে যাঁরা এলাকার বাইরে কখনও যাননি। এইসব দৃষ্টান্ত গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি পালন করা বিশেষ জরুরি। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোই ভালো বলে মনে করছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ঘরের বাইরে বেরুলে অবশ্যই মাস্ক বা ফেস কভারে মুখ ঢাকা, ঘরে ঢুকেই বাইরের জামা কাপড় ধুয়ে ফেলা, বারে বারে সাবান জল বা স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার করা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, CoronaPositive, Coronavirus, COVID19, Social Distancing