Digha: আজও দিঘার সকাল শুরু হয় তাঁর পদধ্বনিতে! দিঘার আসল নায়ক প্রবীণ পেপার কাকু

Last Updated:

Digha: ৪৫ বছর ধরে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বছরের প্রতিদিন তিনি বেরিয়ে পড়েন তাঁর প্রিয় কাজে—হোটেল থেকে হোটেলে, দোকান থেকে দোকানে সংবাদপত্র পৌঁছে দেওয়া তাঁর কাজ।

+
দিঘার

দিঘার পেপার কাকু

দিঘা, মদন মাইতি: দিঘার সকাল মানেই সূর্য ওঠার আগেই রাস্তায় ছুটে চলা এক বৃদ্ধ মানুষ, কাঁধে ব্যাগ, হাতে খবর কাগজের বান্ডিল। তিনিই কমল লোচন পন্ডা, দিঘার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ষাটের কোঠা ছুঁয়েছে অনেক আগেই, তবুও তিনি আজও প্রতিদিন ভোর রাতেই ঘর থেকে বেরাতে হয় তাঁকে। গত ৪৫ বছর ধরে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বছরের প্রতিদিন তিনি বেরিয়ে পড়েন তাঁর প্রিয় কাজে—হোটেল থেকে হোটেলে, দোকান থেকে দোকানে সংবাদপত্র পৌঁছে দেওয়া তাঁর কাজ। তিনি জানেন, প্রতিদিন সকালে কেউ না কেউ অপেক্ষা করছে তাঁর হাতে ধরা খবরের বান্ডিলের জন্য। দিঘার বাসিন্দা হোন বা পর্যটক, সকালের প্রথম খবরটা তাঁর কাছ থেকেই পান সকলে। দিঘার মানুষ ভালোবেসে তাঁকে ডাকেন “পেপার কাকু” নামে। এই নামেই যেন তাঁর পরিচয়, তাঁর গর্ব।
ছোটবেলায় সংসারের অভাব থেকেই শুরু তাঁর এই পেশা। অভাবী সংসারে পড়াশোনা বেশি এগোতে পারেননি। তখনই হাতে তুলে নেন খবর কাগজের বান্ডিল। সেই শুরু—যে যাত্রা আজও থামেনি। ভোর চার’টের দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমে দিঘা স্টেশনে যান, সেখান থেকে সংগ্রহ করেন বিভিন্ন পত্রিকার বান্ডিল। তারপর সাইকেলে চেপে আবার কখনও পায়ে হেঁটে তিনি হোটেল থেকে হোটেলে ঘুরে বেড়ান। ঘাম ঝরে, হাঁপ ধরেও যায়, তবুও তিনি থামেন না। তাঁর কথায়, “এই কাজই আমার জীবন। যতদিন শরীর চলবে, ততদিন খবর কাগজই পৌঁছে দেব মানুষের হাতে।”
advertisement
advertisement
তবে এখন সময় বদলেছে। ডিজিটাল যুগে হাতে মোবাইল মানেই খবর, তাই ছাপা কাগজের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগের মতো আর বিক্রি হয় না, ফলে সংসার চালানোও কঠিন হয়ে উঠেছে কমলবাবুর। মাসে কোনওরকমে কয়েক হাজার টাকাই হাতে আসে। তবুও তিনি কাজ ছাড়তে চান না। বলেন, “সংসার চলছে কষ্টে, কিন্তু যদি এই কাজটা ছেড়ে দিই, মনে হবে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। এই কাগজই তো আমার পরিচয়।” স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। ছেলেমেয়েরা বড় হলেও বাবার এই পরিশ্রম তাঁদের অনুপ্রেরণা দেয়।
advertisement
দিঘার বহু পুরোনো হোটেল মালিকরা আজও বলেন, “যেদিন পেপার কাকু আসে না, সেদিন সকালে যেন কিছু একটা ফাঁকা লাগে।” পর্যটকরাও হাসিমুখে তার কাছ থেকে খবর কাগজ কিনে নেন। অনেকেই তাঁকে ভালবেসে চা খাওয়ান। এই ছোট ছোট মানবিক মুহূর্তই তাঁর প্রেরণা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যেতে চান তিনি। কমল লোচন পন্ডা যেন এক প্রতীকী সংগ্রাম, নিষ্ঠা আর কর্মনিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি। দিঘায় আজও সকাল হয় পেপার কাকুর সেই খবর কাগজের গন্ধে।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Digha: আজও দিঘার সকাল শুরু হয় তাঁর পদধ্বনিতে! দিঘার আসল নায়ক প্রবীণ পেপার কাকু
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement