নেচে-গেয়ে, খেলাচ্ছলে খুদেদের পড়ানো! ৬৩ বছর বয়সেও মন ছুঁয়ে যাওয়া কৌশলে পাঠদান 'এই' শিক্ষিকার

Last Updated:

বাঁকুড়া শুশুনিয়াতে রয়েছেন এমন এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে খেলার ছলে ছোট্ট শিশুদের দিচ্ছেন প্রাথমিক ধ্যান ধারনা। প্রথমে একজন সহায়িকা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মৃদুলা চ্যাটার্জি।

+
অঙ্গনওয়ারি

অঙ্গনওয়ারি শিক্ষিকার সিক্ষাদানের অভিনব পদ্ধতি

শুশুনিয়া, বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার প্রান্তিক এলাকার ছোট্ট শিশুদের শিক্ষার ভিত তৈরি করার দায়িত্ব নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়গুলি এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে। জানলে অবাক হবেন বাঁকুড়া শুশুনিয়াতে রয়েছেন এমন এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে খেলার ছলে ছোট্ট শিশুদের দিচ্ছেন প্রাথমিক ধ্যান ধারনা। প্রথমে একজন সহায়িকা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মৃদুলা চ্যাটার্জি। বর্তমানে শুশুনিয়া গ্রামের ১৯২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মীর কাজ করছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চাদের পুষ্টির বিকাশ, মানসিক বিকাশ এবং সামাজিক বিকাশ। এই তিন পরিষেবা তিনি দিয়ে থাকেন। আর মাত্র দুই বছর তারপর অবসর নেবেন মৃদুলা চ্যাটার্জি। বয়স তার ৬৩। ৬৩ বছর বয়সেও এত স্বতঃস্ফূর্ততা। বাচ্চারা দিদিমনির, কবিতা এবং গান শুনতেই হাজির হয়ে যায় কেন্দ্রের সামনে। মৃদুলা চ্যাটার্জী বলেন, ২০০৭ সালে সহায়িকা থেকে কর্মী হন মৃদুলা চ্যাটার্জি। ছোটবেলায় উনার কাছে যারা পড়েছেন তারা অনেকেই এখন বাবা কিংবা মা, আবার অনেকে দাদু ঠাকুমা। তারাও পছন্দ করেন দিদিমণিকে।
advertisement
advertisement
মৃদুলা চ্যাটার্জী বলেন, “আমি যতটুকু সময় পাই এবং যতটুকু শেখাই সেটা অভিভাবক অভিভাবিকারাই বলতে পারবেন। শিশুদের খেলার ছলে শেখালে তারা অনেক তাড়াতাড়ি শিখতে পারে এবং আমাকে নিযুক্ত করা হয়েছে, সেই পরিষেবা দেওয়ার জন্যই।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিক্ষক দিবসের দিন, দেখুন বাঁকুড়ার এমন এক ‘শিক্ষিকাকে’, যিনি বছরের পর বছর ধরে একদম প্রাথমিকের আগের স্তরে শিশুদের দিচ্ছেন শিক্ষার ধ্যান-ধারণা, সঙ্গে দিচ্ছেন পুষ্টির বিকাশও। বাঁকুড়ার মৃদুলা চ্যাটার্জী যেন ভারতবর্ষের প্রান্তিক শিশুদের একটি ভাল ভবিষ্যৎ দেখানোর প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নেচে-গেয়ে, খেলাচ্ছলে খুদেদের পড়ানো! ৬৩ বছর বয়সেও মন ছুঁয়ে যাওয়া কৌশলে পাঠদান 'এই' শিক্ষিকার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement