শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়ার এক নেতাকে সাসপেন্ড করে দল। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছিল শাসকদল।
#পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কনিষ্ক পান্ডাকে দল বিরোধী কাজের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর টানাপোড়েনের একেবারে শুরু থেকেই প্রাক্তন পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রীর পাশেই ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা। দলে যিনি বরাবরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দলের সাথে নন্দীগ্রামের বিধায়কের দূরত্ব বাড়ার পরেও বারবার প্রকাশ্যেই কণিষ্ক পান্ডা সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন শুভেন্দুকে। আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা এমনকি দলনেত্রীকেও। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা, এমনটাও জানিয়ে আসছিলেন।
গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দিদির সব কিছু ঢপ। দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে ঢেকে দিলেও ঋণ শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।” দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কণিষ্ক পান্ডার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কী দলবদলের হাওয়ায় তিনিও বিরোধী রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চলেছেন? যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ে শাসকদলের।এই পরিস্থিতিতে রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়ে দিলেন কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা। তাঁর কথায়, দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার কারণেই এই বহিষ্কার। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের কারণেই দলের এই সিদ্ধান্ত।
advertisement
advertisement
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়ার এক নেতাকে সাসপেন্ড করে দল। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছিল শাসকদল।গত ৪ তারিখ দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা শিশির অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় অনেক নেতা দল বিরোধী কাজ করছেন। তাঁরা দলের অনুশাসন মানছে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা যদি দলের আইন বা নিয়ম না মানে তাহলে তাঁদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। এর পরেই দেখা যায় কাঁথি, নন্দকুমার সহ একাধিক ব্লক স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় দল। তার পরেও অবশ্য "দাদার অনুগামী" কণিষ্ক পান্ডা দল বিরোধী কথা যেমন বলেছেন তেমনি দলের নেতা-নেত্রীদের আক্রমণ করেছেন। এমনকি দাদার অনুগামী হিসাবে দেওয়াল লিখতে অবধি তাঁকে দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করল শাসক দল।
advertisement
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর মাধ্যমে দল যেমন একদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিল। তেমনি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক নেতাই যারা দলে থেকেও দল বিরোধী কথা বলছেন তাঁদেরকেও বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এখন দেখার কণিষ্ক পান্ডাকে দল থেকে বহিষ্কারের পরে তিনি কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারণ তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হলেও, এখনও দলেই রয়েছেন শুভেন্দু।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
December 13, 2020 2:13 PM IST