'ব্রিটিশ আমলের নিয়ম' ফিরিয়ে আনল দফতর! বিপাকে 'ওঁরা', জানেন কী এমন ঘটল সুন্দরবনে

Last Updated:

এক নয়া আদেশে বিপাকে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের দাবি ইংরেজ আমলের এক নির্দেশকে নতুন করে পেশ করা হয়েছে। 

+
জেলে

জেলে নৌকায় মৎস্যজীবীরা

রায়দিঘি, নবাব মল্লিক: মাছ ধরতে পারবে না মৎস্যজীবীরা। এমনই এক নয়া আদেশে বিপাকে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের দাবি ইংরেজ আমলের এক নির্দেশকে নতুন করে পেশ করা হয়েছে।  যে নির্দেশে স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের জঙ্গল এলাকায় যাওয়া নিষেধ ছিল। সেই নির্দেশের কলে পড়ে বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। এর ফলে মৎস্যজীবীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের ভেতরের নদী এবং খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার জায়গা আগের চাইতে অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছিল। আর এবার বন দফতরের নতুন নির্দেশিকা আরও সমস্যায় ফেলেছে মৎস্যজীবীদের। নতুন নির্দেশিকা বাতিলের পাশাপাশি বিনা কারণে সুন্দরবনের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের ওপর বন দফতরের আক্রমণ ও বিভিন্ন সময়ে নৌকা, জাল বাজেয়াপ্ত করার মনোভাব বন্ধ না করলে আগামী দিনে সুন্দরবনের সব রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী মৎস্যজীবীরা।
advertisement
advertisement
মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, গত ৫০ বছর ধরে বাঘ সংরক্ষণের অছিলায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুন্দরবনের নদী, খাঁড়ি ও জঙ্গলে মৎস্যজীবীদের মাছ কাঁকড়া শিকারের পরম্পরাগত জীবিকা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। শুধু তাই নয়, মৎস্যজীবীদের উপর নিরন্তর অত্যাচার ও জুলুম চালাচ্ছে বন দফতর। প্রায় চার হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই সুন্দরবনের মাত্র ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাতেই মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার সুযোগ পান। কিন্তু প্রতিনিয়ত সেই জায়গাও ছোট করে দেওয়ার ফলে প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের জীবীকায় টান পড়ছে। অন্যদিকে মাতলা, রায়দিঘি ও রামগঙ্গা রেঞ্জকে ‘সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্ট’- এর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের মাছ কাঁকড়া ধরার এলাকা আরও ছোট হয়ে যাবে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৎস্যজীবীদের দাবি, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া আইন বাতিলের পরিবর্তে উল্টে সেটি চালু করার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বন দফতর। নতুন নিয়মে, চুলকাটি জঙ্গলের ১ থেকে ৮ নম্বর পয়েন্ট ও ঢুলিভাসানির জঙ্গলের ১ থেকে ৮ নম্বর পয়েন্ট পর্যন্ত মাছ ও কাঁকড়া ধরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ সুন্দরবনের হাজার হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকা পালনের ক্ষেত্রে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সুন্দরবনের সর্বত্র মাছ কাঁকড়া ধরার উপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
advertisement
সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ও মৎস্য কর্মচারী সংগঠনের সহকারী সম্পাদক সুকুমার সাউ বলেন, “বন দফতরের নতুন নির্দেশিকা আমাদের জীবিকা কেড়ে নিতে চলেছে। বন দফতরের এই নিয়মের ফলে আমরা জঙ্গলের গভীরের নদী ও খাঁড়িতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অধিকার হারাতে চলেছি। এই আন্দোলন থামবে না৷ জোরজুলুম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। মৎস্যজীবীদের অধিকার খর্ব হলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার নেবে।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
'ব্রিটিশ আমলের নিয়ম' ফিরিয়ে আনল দফতর! বিপাকে 'ওঁরা', জানেন কী এমন ঘটল সুন্দরবনে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement