Nadia News: আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্যোগে জেলায় লাল চন্দন চাষে আসছে সাফল্য

Last Updated:

পূর্ব ভারতের ছটি রাজ্যের মধ্যে নদিয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকের বেতনা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামেই লাল চন্দনের বাগান তৈরি করা হয়েছে

লাগানো হয়েছে লাল চন্দনের চারা
লাগানো হয়েছে লাল চন্দনের চারা
হাঁসখালি: লাল চন্দন গাছ। যাকে অনেকে চেনে রক্ত চন্দন বা রঞ্জনা বলেও। সেই গাছের পাচারের গল্পেই উঠে এসেছে দক্ষিণের সিনেমায় পুষ্পা মুভিতে। যা নিয়ে হৈ হৈ পড়েছিল দেশজুড়ে।‌ সেই বহুমূল্যবান গাছ সর্বত্র দেখা যায়না। অথচ তার বাগান তৈরি হয়েছে নদিয়া জেলাতেই। কেন্দ্র সরকারের আষুশ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তা বানানো হয়েছে। পূর্ব ভারতের ছটি রাজ্যের মধ্যে নদিয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকের বেতনা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামেই লাল চন্দনের বাগান তৈরি করা হয়েছে। পাইলট প্রোজেক্টের সেই কাজে সফলতাও এসেছে।‌ সম্প্রতি তাকে অনুপ্রেরণামূলক সাকসেস স্টোরি হিসেবে তুলে ধরেছে আষুশ মন্ত্রকের তরফ থেকে। আগামী দিনে তা মডেল হিসেবে তুলে ধরা হবে।
এই প্রোজেক্টের কোর্ডানিটার অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘লাল চন্দন গাছ খুব একটা দেখা যায়না। কিন্তু আষুশ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে এই বাগান তৈরি করা হয়েছে। এই গাছের উপকারিতা অনেক। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার এই বাগানকে কেন্দ্র সরকারের মডেল বাগানের স্বীকৃতি দিয়েছে।‌
২০১৯-২০ সাল নাগাদ এই লাল চন্দনের বাগান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। নদিয়ার বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ, প্রথমে ৩৬ টি লাল চন্দন এবং ২ টি সাদা চন্দন গাছ অষুশ মন্ত্রকের ন্যাশানাল মিডিশিনাল প্লান্টের আওতায় থাকা পূর্বাঞ্চল রিজিওনাল কাম ফেসিশিটেশান সেন্টার থেকে সংগ্রহ করেন। দুবছরে মধ্যে দেখা যায় যে সাদা চন্দন গাছ সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। অন্যদিকে বিরলতম প্রজাতির লাল চন্দন গাছ ভালো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতেই বোঝা যায়, লালা চন্দন গাছ বড়ো হওয়ার জন্য মাটিতে যে উপকরণের প্রয়োজন পড়ে তা নদিয়াতে রয়েছে। এই ধরণের মাটি মূলত দক্ষিণ ভারতে পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
তারপর রিজিওনাল কাম ফেসিশিটেশান সেন্টারের তরফে পূর্ব ভারতের মধ্যে একমাত্র নদিয়া জেলার হাঁসখালির এই লাল চন্দনের বাগানকে আরোও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো লাল চন্দনের চারা তৈরির জন্য হাঁসখালিতে ডেডিকেটেড নার্সারি তৈরি করা হয় আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে। সেখানে দক্ষিণ ভারত থেকে ৪ হাজার উচ্চ মানের লাল চন্দন গাছের বীজ নিয়ে আনা হয়। তারপর হাঁসখালির নার্সারিতে সেই চারা তৈরি করে মাটিতে রোপন করা হয়। সেই চাষের কাজে আষুশ মন্ত্রকের আরসিএফসি’র তরফ থেকে সমস্তরকম সহযোগিতা করা হয়।‌ সেই চাষের কাজের জন্য নেওয়া হয় নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট মেডিশিনাল ফার্মার ক্লাস্টারের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। মোটা ২৭০০ টি লাল চন্দনের চারা নদীয়া জেলাজুড়ে রোপন করা হয়। যার মধ্যে প্রায় ১৫০০টি চারা দিয়ে পাঁচ একর জমিতে লাল চন্দনের বাগান তৈরি হয়েছে হাঁসখাল ব্লকের বেতনা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। আগামী দিনে এই প্রোজেক্টকে দেশজুড়ে লাল চন্দনের বাগান তৈরির মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হবে, বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
লাল চন্দন গাছ হল ভেষজ উদ্ভিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। গাছের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই চাষিদের কাছে এই লাল চন্দনের চাষ অত্যন্ত লাভদায়ক। যার জন্য গাছ পাচারকারীদের নজর থাকে এই গাছের উপর। কিন্তু এর চাষের চল বাংলাতে নেই। কারণ এই লাল চন্দন হল ‘এনডেমিক স্পিসিস’। অর্থাৎ এই গাছ একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন দক্ষিণ ভারতে এই গাছ ভালো জন্মায়। কিন্তু এবার পূর্ব ভারতেও লাল চন্দনের বাগান তৈরি করা হল।
advertisement
Mainak Debnath
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্যোগে জেলায় লাল চন্দন চাষে আসছে সাফল্য
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: রাতে শীত, দিনে কিছুটা গরম ! কলকাতার তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়ল, জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে?
রাতে শীত, দিনে কিছুটা গরম ! কলকাতার তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়ল, জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে?
  • রাতে শীত, দিনে কিছুটা গরম

  • আগামী পাঁচ-সাত দিনে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই

  • রাজ্যের কোথাও আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই

VIEW MORE
advertisement
advertisement