#হাওড়া: রোজকার মতো অফিসে বেরিয়েছিলেন বাড়ির মেয়ে৷ কিন্তু এমন অপ্রত্যাশিত খবর যে আসবে, তা কেউ ভাবতে পারেননি৷ শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাসের কাছে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের এলোপাথারি গুলিতে প্রাণ গেল হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহের৷
পরিবারের সূত্রে খবর, সংসারের হাল ধরতেই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নিয়েছিলেন রিমা৷ এ দিনও বেলা বারোটার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি৷ সাধারণত অফিসের কাজে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হত৷ এ দিনও অফিসের কাজেই পার্ক সার্কাস এলাকায় গিয়েছিলেন রিমা৷ অ্যাপ বাইকে চড়ে যাওয়ার সময়ই কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল চড়ুপ লেপচার ছোড়া গুলি এসে লাগে রিমার মাথার পিছন দিকে৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
আরও পড়ুন: ছুটি থেকে ফিরেই পার্ক সার্কাসে তাণ্ডব, জানা গেল সেই পুলিশকর্মীর পরিচয়ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিম দাসনগরের ফকির মিস্ত্রি বাগান লেনে শোকের ছায়া৷ এখানেই প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাবা-মা এবং ভাইকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রিমা৷
আরও পড়ুন: ইনসাস হাতে এক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি, তার পরেই এলোপাথারি গুলি! কী ঘটল পার্ক সার্কাসে?রিমার বাবা অরুণ সিংহ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন৷ কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি ঠিক মতো কাজ করতে পারেন না৷ ভাইও গতবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন৷ ফলে সংসারের হাল ধরতে রিমাও চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ বলা ভাল, তাঁর উপরই ছিল সংসারের মূল ভার৷
কিন্তু সেই চাকরি করতে গিয়েই যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তাঁর, তা ভাবতেও পারছেন না রিমার পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা৷ রিমার বাবা- মায়ের আশা, মেয়ে হয়তো শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাছে ফিরে আসবেন৷
রিমা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলের ছোড়া গুলিতে দু' জন আহত হয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ বসির আলম নোমানি (৪৮)৷ তাঁর ডান কাঁধে গুলির ক্ষত রয়েছে৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল৷ এ ছাড়াও মহম্মদ সরফরাজ আলম নামে ১৯ বছরের এক যুবকের দু' হাতেও গুলির বারুদের আঘাত রয়েছে৷ কয়েকদিন আগেই বিহার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল সে৷ দু' জনকেই এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah, Park Circus