জীবন্ত অনুপ্রেরণা! দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও ইচ্ছের দমই আসল, ১৭ বছর ধরে সাইকেল, মোটরবাইক মেরামতি করছেন নীলরতন

Last Updated:

দু’চোখে দেখতে পান না তিনি, তবুও টানা ১৭ বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে সাইকেল ও মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করে চলেছেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের দুরমুট গ্রামের নীলরতন মাঝি।

+
অন্ধ

অন্ধ হয়েও সাইকেল মোটরবাইক মেরামতি করছেন পুরুলিয়ার নীলরতন মাঝি

পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: দু’চোখে দেখতে পান না তিনি, তবুও টানা ১৭ বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে সাইকেল ও মোটরসাইকেল মেরামতির কাজ করে চলেছেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের দূরমুট গ্রামের নীলরতন মাঝি। দৃষ্টিশক্তিহীন হলেও নিজেকে কখনও অসহায় ভাবেননি। বরং মজবুত ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি নিজের জন্য তৈরি করে নিয়েছেন আত্মনির্ভরশীল জীবনের এক উজ্জ্বল পথ।
১৯৮৯ সাল থেকে দুরমুট গ্রামে মামার বাড়িতে থাকছেন নীলরতন। সেখান থেকেই শুরু হয় তার সংগ্রামের পথচলা। স্ত্রী সহ এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। তবে এই সংসার আর পাঁচটা সাধারণ পরিবারের মতো নয়। কারণ এই পরিবারের মূল ভরসাই হলেন এমন একজন মানুষ, যিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও থেমে যাননি। নীলরতন জন্ম থেকে পুরোপুরি অন্ধ ছিলেন না। ১৯৯৯ সালে, স্কুলে পড়ার সময় হঠাৎ করেই চোখে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি, চিরতরে হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টিশক্তি। এক মুহূর্তে বদলে যায় তার পৃথিবী, ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। কিন্তু সেই অন্ধকারেই তিনি খুঁজে পান নতুন আলো।
advertisement
advertisement
যে আলো ইচ্ছাশক্তির, সাহসের এবং আত্মবিশ্বাসের। পুরুলিয়ার এই মানুষটি ২০০৮ সালে শুরু করেন সাইকেল ও মোটরসাইকেল মেরামতির কাজ। শুরুতে অনেকেই অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়েছিল, একজন দৃষ্টিহীন মানুষ কীভাবে গাড়ি সারাই করবেন! কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নীলরতনের নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান সবাই। গ্রাহকদের কথায়, তার হাতে যেন সত্যিই একধরনের যাদু আছে, চোখে দেখতে না পেলেও স্পর্শে, শব্দে, ও অভিজ্ঞতায় বুঝে যান কোথায় কী সমস্যা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনও বড় দোকান নেই তার। মামার বাড়ির এক কোণে নিজের তৈরি ছোট্ট ওয়ার্কশপে সারি সারি যন্ত্রপাতি সাজিয়ে নিয়েছেন পরিপাটি করে। সেখানেই রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তার প্রিয় গাড়ি মেরামতের কাজে। নীলরতন মাঝি আজ শুধু একজন মেকানিক নন, তিনি এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। সীমিত শারীরিক সক্ষমতার মধ্যেও যে মানুষের ইচ্ছাশক্তি তাকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
জীবন্ত অনুপ্রেরণা! দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও ইচ্ছের দমই আসল, ১৭ বছর ধরে সাইকেল, মোটরবাইক মেরামতি করছেন নীলরতন
Next Article
advertisement
Park Street Hotel Incident: হোটেলের ঘরে পচা গন্ধ, বক্স খাটের ভিতরে মিলল যুবকের দেহ! পার্ক স্ট্রিটে হাড় হিম করা ঘটনা
হোটেলের ঘরে পচা গন্ধ, বক্স খাটের ভিতরে মিলল যুবকের দেহ! পার্ক স্ট্রিটে হাড় হিম করা ঘটনা
  • পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে রহস্য৷

  • ঘরের বক্স খাটের ভিতরে যুবকের দেহ৷

  • খুন বলেই অনুমান পুলিশের৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement