#শেওড়াফুলি: এমন লড়াই শুধু পারেন মায়েরাই । তাই অন্তত একটা জায়গায় পৃথিবীর সব মা একই রকম । সন্তান স্নেহে মায়ের থেকে বড় আর কেউ নয় । সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখানো যতই কঠিন হোক না কেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে মা একাই সেই লড়াইয়ে নামেন । মাতৃ দিবসের সংজ্ঞা যে মা জানেন না না, তিনিও সন্তানকে আগলে রাখতে কোনও অংশ কম যান না । যেমন, ফাঁকা শেওড়াফুলি স্টেশনে সন্তানকে বুকে আগলে রাখা এই অসহায় মা ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে মানুষ যখন তটস্থ, লকডাউনে মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখনই শেওড়াফুলির এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওভারব্রিজের ঠিক নীচে পুত্র সন্তান প্রসব করলেন প্ল্যাটফর্মবাসী এক মহিলা।
যদিও সন্তান প্রসবের পাঁচদিন পরেও স্থানীয় প্রশাসন বা শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর বা নেতা এই মহিলার কাছে আসেননি। হয়তো তাঁরা সন্ধানই পাননি। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন শেওড়াফুলির রেল কর্তা বা রেলপুলিশও কেন সদ্য মা হওয়া এই প্রসূতি টুম্পা পাশোয়ান ও তার শিশুর যত্ন নিতে এগিয়ে এল না, সেটাই আশ্চর্যের। আশঙ্কা থেকেই যায় যে, করোনা ভাইরাসের এই দাপটের সময় যে কোনও মূহুর্তে মা ও সদ্যজাত শিশুটির শরীরে কোনও রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। তা তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই এখনই তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত ।
লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন ওই শিশুর বাবা সন্তোষ পাসোয়ান । আপাতত এক বেলা কোনও মতে খেয়ে দিন কাটছে ওই অসহায় পরিবারটির । জন্মের পর থেকে শিশুটিকে এক বার চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি তাঁরা ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Delivery, Lockdown, Newborn, Seoraphuli Junction