Flower Cultivation : বর্ধমানেও আছে ফুলের স্বর্গ, টেক্কা দিতে পারে ক্ষীরাইয়ের সঙ্গে! অতিবৃষ্টির জেরে এখন ফিকে, শীতে কী ফিরবে সেই রূপ?

Last Updated:

Flower Cultivation : পূর্বস্থলীর পলাশফুলি। প্রতিবছরের মতো এবারও এই অঞ্চলে শুরু হয়েছে ফুলের চারা বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রির পরিমাণ এবার অনেকটাই কম।

+
ফুলের

ফুলের চারা তৈরি 

কালনা, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: রাজ্যের ধানের গোলা হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা। তবে ধান চাষের পাশাপাশি এই জেলার পূর্বস্থলী ব্লকে ব্যাপকভাবে ফুল চাষও হয়। বিশেষ করে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের পলাশফুলি এলাকা এখন ফুল চাষের জন্য এক বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই অঞ্চলে শুরু হয়েছে ফুলের চারা বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রির পরিমাণ এবার অনেকটাই কম।
চাষিদের অভিযোগ, এবছরের অনিয়মিত ও অতিবৃষ্টির ফলে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এখনও সব ফুলের চারা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। কিছু ফুলের চারা সবে তৈরি হয়েছে মাত্র। সাধারণত শীতের শুরু থেকেই এই এলাকায় পাইকারদের ভিড় জমে। কিন্তু এবছর সেই ভিড় তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। চাষিদের আশা, শীত আরও কিছুটা বাড়লেই ফুল বিক্রির পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয়, একসময় সুন্দবনের গর্ব ছিল বিরল ‘এই’ বিশাল প্রাণী! কিন্তু আজ ইতিহাস, জানেন কী?
ফুলচাষি গৌতম রায় বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের চারা তৈরিতে এবার দেরি হচ্ছে। কিছু কিছু ফুলের চারা তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র। আশা করছি আর একটু শীত বাড়লে পাইকারদের সংখ্যাও বাড়বে এবং ফুলও ভালই বিক্রি হবে।” এই এলাকায় গাঁদা, জবা, গোলাপ, দোপাটি, লেডিবার্ড, নয়নতারা সহ নানান ধরনের ফুলের চারা উৎপন্ন হয়। এখানকার মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য একেবারে উপযুক্ত হওয়ায় বহু পরিবার এই চাষের সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
advertisement
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ফুলের চাষ শুরু করে তাঁরা চারা বিক্রি থেকে শুরু করে পরিপক্ক ফুল বিক্রির ব্যবসাও করেন। পলাশফুলি ও আশপাশের গ্রামগুলিতে প্রায় প্রতিটি ঘরেই ফুল চাষের চিহ্ন চোখে পড়ে। কেউ ছোট আকারে, কেউ বড় পরিসরে ফুল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই অঞ্চলের ফুল ও ফুলের চারা ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, এমনকি নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত পাঠানো হয়। ভরা মরশুমে প্রতিদিনই এখানকার চাষিরা ট্রাকভর্তি ফুল পাঠান বাইরের রাজ্যে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে ফুল চাষই এখন তাঁদের প্রধান জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে। অনেক চাষি ফুল চাষ করে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তবে এবছর বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে। চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিদের খরচও বেড়েছে। তার পরেও তাঁরা আশাবাদী আরও কিছুটা শীত পড়লেই চারা বিক্রি ও ফুলের উৎপাদন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। তাঁদের বিশ্বাস, প্রকৃতি সহায় হলে আগামী মাস থেকেই বিক্রির জোয়ার আসবে আবার পলাশফুলির মাঠে মাঠে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Flower Cultivation : বর্ধমানেও আছে ফুলের স্বর্গ, টেক্কা দিতে পারে ক্ষীরাইয়ের সঙ্গে! অতিবৃষ্টির জেরে এখন ফিকে, শীতে কী ফিরবে সেই রূপ?
Next Article
advertisement
Australia Woman Cricketer Molestation: বিশ্বকাপ খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানি, ইনদৌরের রাস্তায় কী ঘটল? ধৃত অভিযুক্ত
বিশ্বকাপ খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানি, ইনদৌরের রাস্তায় কী ঘটল?
  • অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটারের শ্লীলতাহানি৷

  • ইনদৌরের রাস্তায় আক্রান্ত দুই মহিলা ক্রিকেটার৷

  • অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement