'বেরিয়ে যান...'! এলাকাবাসীর কথা শুনেই ফুঁসে উঠলেন প্রধান! কী এমন দাবি করেছিলেন স্থানীয়রা?

Last Updated:

এলাকাবাসীর কোন কথা শুনে রেগে যান প্রধান?

এলাকাবাসীর কথা শুনে চোখ রাঙিয়ে ওঠেন প্রধান। প্রতীকী ছবি
এলাকাবাসীর কথা শুনে চোখ রাঙিয়ে ওঠেন প্রধান। প্রতীকী ছবি
খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, শঙ্কর রাইঃ রাস্তার সমস্যার কথা বলতে গিয়েছিলেন। এবার সেখানেই প্রধানের চোখরাঙানি সহ্য করতে হল স্থানীয় বাসিন্দাদের। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার কলাইকুন্ডা ৪ নম্বর অঞ্চলের পশ্চিম আম্বা বুথের গোকুলপুর এলাকার সেই ঘটনা ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা ইসলাম মল্লিক সহ বেশ কয়েকজন।
‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবিরে গিয়ে পাড়ার সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেই রেগে যান প্রধান ও উপপ্রধান! এলাকাবাসীদের রীতিমত চোখ রাঙিয়ে বলেন, “বেরিয়ে যান, বেরিয়ে যান…’।
আরও পড়ুনঃ টোল পাসেও প্রতারণা! রাজ্যের ‘এই’ জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতের আগে সাবধান!
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানার গোকুলপুর বিধানচন্দ্র বিদ্যাভবন স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। সেখানে গিয়ে নিজেদের এলাকার একটি রাস্তার সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন ইসলাম মল্লিক সহ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিন দিন সংকীর্ণ হচ্ছে। রাস্তা দখল করে বাড়ি করে নিচ্ছেন অনেকে। সেইসঙ্গেই রাস্তার হাল বেহাল। বর্ষার দিনে পড়ুয়া সহ সকলকেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার বা পাকা রাস্তার দাবি তোলেন ইসলামরা।
advertisement
advertisement
অভিযোগ, এই দাবি তুলতেই শিবিরে উপস্থিত প্রধান মল্লিকা মুদি এবং উপপ্রধান কৃষ্ণা দোলই তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি শিবির ছেড়ে ‘বেরিয়ে যেতে’ও বলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিও নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুনঃ বিরাট চেহারা! সাতসকালে দিঘায় ধরা পড়ল ‘জায়ান্ট’…! সৈকত শহরে শোরগোল
প্রধান মল্লিকা মুদি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাই এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা জানাতে বলেছিলাম। ওই রাস্তা পরে সারাই করলেও হবে বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা চেঁচামেচি করছিলেন। তাই পাশের ঘরে গিয়ে সমস্যার কথা লিখে দিতে বলি’।
advertisement
শুক্রবার সকালে পাল্টা ইসলামের দাবি, ‘আমরা কি এলাকার বাসিন্দা নই না সরকারের সমর্থক নই যে আমাদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করা হল! এই রাস্তা আগে ৪০ ফুটের ছিল, কমতে কমতে ৮-৯ ফুটের হয়েছে। বর্ষাকালে হাঁটা যায় না। জল জমে থাকে সব সময়। বাচ্চাদের কষ্ট করে স্কুলে যেতে হয়। তাই বুথের জন্য যে ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সরকার, সেই টাকায় এই রাস্তা ঢালাই করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, প্রধান-উপপ্রধান দুর্ব্যবহার করে বেরিয়ে যেতে বলেন। বৃহস্পতিবারের সেই ভিডিও আমরা ফেসবুকেও পোস্ট করেছি’।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
'বেরিয়ে যান...'! এলাকাবাসীর কথা শুনেই ফুঁসে উঠলেন প্রধান! কী এমন দাবি করেছিলেন স্থানীয়রা?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement